কে আগে যাবে? বিএমডব্লিউ গাড়ি এবং একটি ইনোভার মধ্যে চলে রেষারেষি। কখনও এগিয়ে যায় বিএমডব্লিউ, আবার কখনও ইনোভা। দুই গাড়ির রেষারেষির মাঝে পড়ে প্রাণ হারালেন এক বাইক-আরোহী।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কিদোয়াইনগর এলাকায়। শুক্রবার রাতে একটি বিএমডব্লিউ এবং ইনোভা নিজের মধ্যে রেষারেষি শুরু করে। সেই সময় আচমকাই ইনোভা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাইককে ধাক্কা মারে। ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২০ মিটার দূরে ছিটকে পড়েন আরোহী। মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি।
স্থানীয়েরাই ওই বাইকচালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের অন্ধকারে জনবহুল এলাকার মধ্যে দিয়ে দুই গাড়ি খুব জোরে ছুটছিল। দুই গাড়ির চালকই একে অপরের সঙ্গে রেষারেষি করছিলেন। সেই সময়ই রাস্তা দিয়ে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন নবীন গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি। ইনোভা গাড়িটি ধাক্কা মারে বাইকটিকে। আঘাতের অভিঘাত এত বেশি ছিল যে বাইক থেকে নবীন ছিটকে পড়েন।
দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালান ঘাতক গাড়ির চালক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই গাড়ির সন্ধান শুরু করে তারা। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার জেরে ওই ইনোভা গাড়ি নম্বরপ্লেট খুলে পড়ে যায়। সেই অবস্থাতেই চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ওই নম্বরপ্লেট থেকে গাড়ির এবং তাঁর মালিকের খোঁজ পায় পুলিশ। পরে অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতার করা হয়। আরও জানা যায়, ওই ইনোভা গাড়ির গায়ে ‘ভারত সরকার’ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার লোগোও সাঁটানো ছিল।
আরও পড়ুন:
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ওই গাড়িটি লাজপতনগরের এক ঠিকাদার গোপাল বাজপেয়ীর নামে নথিভুক্ত করা। তবে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে ছিলেন আয়ূষ মিশ্র নামে এক ব্যক্তি। তিনি গোপালের পরিচিত। আটকের পর তিনি প্রথমে দুর্ঘটনার কথা অস্বীকার করেন। তিনি দুর্ঘটনার জন্য ওই বিএমডব্লিউ গাড়ির চালককেই দায়ী করেন। তবে পরে পুলিশ জানতে পারে, আয়ূষ মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন।