প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
একের পর এক বিমানে হুমকিবার্তা আসার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এ বার বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসল অসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিয়োরিটি (বিসিএএস)। শনিবার বিমান মন্ত্রকের দফতরে বিমান সংস্থাগুলির সিইওদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, হুমকিবার্তা কী ভাবে রোখা যায়, শুধু তা-ই নয়, হুমকিবার্তা পাওয়ার পর কী কী পদক্ষেপ করা উচিত এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থাগুলিতে হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে। ছ’দিনে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ারলাইন্সের একের পর এক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে। তার মধ্যে ৩০টি বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে শুধু শনিবারেই। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, যে আইপি অ্যাড্রেসগুলি ব্যবহার করে বোমার হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলি লন্ডন, জার্মানি, কানাডা এবং আমেরিকা থেকে পাঠানো হয়েছে। ভিপিএন পরিষেবা ব্যবহার করে এই হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
এই বোমাতঙ্ক কী ভাবে রোখা যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নতুন নির্দেশিকা জারি করার ভাবনাচিন্তা শুরু করে বিসিএএস এবং দেশের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। প্রসঙ্গত, এক্স হ্যান্ডলকে ব্যবহার করে গত সোমবার থেকে লাগাতার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানগুলিতে হুমকিবার্তা দেওয়া হচ্ছে। যার জেরে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। কখনও বিমান বাতিল করতে হচ্ছে, কখনও জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করাতে হচ্ছে, কখনও আবার বিমান ওঠানামায় দেরি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার অসামরিক বিমাণ পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের তত্ত্বকে নস্যাৎ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, যে সব ভুয়ো হুমকি ফোন বা বার্তা এসেছে সেগুলির বেশির ভাগই ‘কোনও নাবালক বা মজাচ্ছলে’ কেউ করছেন। তবে যদি কেউ মজাচ্ছলে করেও থাকেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমের ওই অ্যাকাউন্টগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy