প্রতীকী ছবি।
দেশে কৃষকদের মাথা পিছু আয় বছরে ৭৭ হাজার টাকার সামান্য বেশি। কিন্তু কৃষকদের পরিবার পিছু ঋণের বোঝার পরিমাণ ৪৭ হাজার টাকা। কৃষি মন্ত্রক আজ সংসদে জানিয়েছে, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের ৫২ শতাংশ কৃষক পরিবারই ঋণগ্রস্ত।
লোকসভা ভোটের আগে চাষিদের ঋণ মকুব রাজনৈতিক বিতর্কের অন্যতম বিষয় হিসেবে উঠে এসেছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই দাবিতে চাষিদের ছোট-বড় নানা আন্দোলন হয়েছে। দাবি উঠেছে কৃষইঋণ মকুবের। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর সরকার কিছুতেই কৃষিঋণ মকুবের পথে পাঁটতে রাজি হয়নি। তার বদলে চাষিদের জন্য বছরে ছয় হাজার টাকা ভাতার পিএম-কিসান প্রকল্প চালু করেছে। উল্টো দিকে ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার পিছনে বড় হাতিয়ার ছিল কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি।
তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর আজ জানান, চাষিদের ঋণের বোঝা কমাতে সরকার সুদে ভর্তুকি দিচ্ছে। কিসান ক্রেডিট কার্ড বা অন্য জায়গা থেকে স্বল্প মেয়াদে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ ঠিক সময়ে মিটিয়ে দিলে সুদের হার ৭ থেকে ৪ শতাংশে নেমে আসে।
কৃষি মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে চাষি পরিবারের গড় ঋণের পরিমাণ ১৪ হাজার ৮৪৮ টাকা। অর্থাৎ জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশ কম। কিন্তু এটার অন্য দিকও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব রাজ্যে চাষিদের জমির মালিকানার পরিমাণ বেশি, সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই ঋণের অঙ্ক বেশি হয়। কেরলে চাষিদের ঋণের পরিমাণ সব থেকে বেশি, পরিবার পিছু ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকার বেশি। পঞ্জাবের ক্ষেত্রেও এই ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বেশি। তামিলনাড়ু, অন্ধ্র, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানার মতো রাজ্যগুলিতেও চাষিদের পরিবার পিছু ঋণের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। ২০১৯-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের চাষিদের বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৯ হাজার কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy