আমেরিকা থেকে বুধবারই ১০৪ জন অবৈধবাসী ভারতীয়কে নিয়ে পঞ্জাবের অমৃতসরে নেমেছে একটি বিমান। সেই ১০৪ জনের মধ্যে হরিয়ানার ৩৩ জন, গুজরাতের ৩৩, পঞ্জাবের ৩০, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের তিন জন করে আর চণ্ডীগড়ের দু’জন রয়েছেন। মার্কিন বায়ুসেনার বিমানে কী ভাবে তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে, সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন অবৈধবাসী ভারতীয়েরা। তাঁদের দাবি, ৪০ ঘণ্টার ওই সফর ছিল নরকযন্ত্রণার মতো।
আমেরিকাফেরত অবৈধবাসী ভারতীয়দের বেশির ভাগেরই দাবি, সফরের পুরোটাই হাতকড়া পরানো ছিল তাঁদের। পায়ে বাঁধা ছিল শিকল। বসার আসন থাকলেও এক ইঞ্চি এ দিক-ও দিক নড়াচড়ার জায়গা ছিল না। বার বার অনুরোধ করেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। হাত-পা ঘষটে ঘষটে শৌচাগারে যেতে হয়েছে। বিমানকর্মীরা শৌচালয়ের দরজা খুলে ধাক্কা দিয়ে প্রবেশ করাচ্ছিলেন।
তাঁদের আরও অভিযোগ, ৪০ ঘণ্টার সফরে ঠিক মতো খাবার খেতে পারেননি। হাতকড়া পরেই খেতে বাধ্য করা হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে বার বার অনুরোধ করা হচ্ছিল হাতকড়া খুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁরা কোনও অনুরোধই কানে তোলেননি। অবৈধবাসী ভারতীয়দের দাবি, এই সফরে তাঁরা শুধু শারীরিক ভাবেই নয়, মানসিক ভাবেও বিপর্যস্ত। অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ছিল এই সফর। তবে বিমানের নিরাপত্তাকর্মীদের সকলেই খারাপ আচরণ করেছেন এমনটা নয়। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার ফলও খেতে দিয়েছেন। অনেকের আবার অভিযোগ, বিমানে করে তাঁদের এমন ভাবে নিয়ে আসা হয়েছে যেন মনে হচ্ছিল তাঁরা কোনও দাগী অপরাধী।
ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই সে দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ শুরু হয়। ধরপাকড়ও শুরু করে মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরতও পাঠিয়েছে আমেরিকা। অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে পেন্টাগনে আমেরিকার সামরিক সদর দফতর থেকেও সাহায্য নিচ্ছে ওয়াশিংটন।