জইশ জঙ্গি ঢুকে পড়ার খবরে বিমানবন্দর ও বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জারি হয়েছে সতর্কতা।—প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমের মুখে রাজধানীতে চার জইশ জঙ্গি ঢুকে পড়ার খবরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে উত্তর ভারতে। দিল্লির পাশাপাশি অমৃতসর, চণ্ডীগড়, হিন্ডন, পঠানকোটের মতো বিমানবন্দর ও বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জারি হয়েছে সতর্কতা। ওই বিমানবন্দরগুলিতে সিআইএসএফের পাশাপাশি সেনা মোতায়েন হয়েছে। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারগুলিতে রাখা হয়েছে কমান্ডো ও স্নাইপারদের। সম্প্রতি সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত জানান, বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে ধ্বংস হওয়া জইশের ঘাঁটি ফের সক্রিয় হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, গত কয়েক দিনের মধ্যে দিল্লিতে ঢুকেছে চার জইশ জঙ্গি। তারা দুর্গাপুজো ও রামলীলার সময়ে বড় হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাড়িতেই এ নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক বসে। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা ও ইন্টেলিজেন্স বুরোর অধিকর্তা অরবিন্দ কুমার। সেন্ট্রাল দিল্লির ডিসিপি এমএস রনধাওয়া বলেছেন, ‘‘আমরা সতর্ক রয়েছি। যে কোনও নাশকতা ঠেকাতে সব রকম ভাবে তৈরি। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।’’ গত কাল রাত থেকে দিল্লির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, রামলীলার ময়দানগুলিতে প্রচুর জনসমাগম হওয়ায় হামলা চালানো সহজ।
এখন প্রশ্ন উঠছে, এই চার জইশ জঙ্গি কোথা থেকে আসতে পারে? এরা কি পাকিস্তানের, কাশ্মীরের নাকি অন্য কোনও অঞ্চলের? এরা যদি বাইরে থেকে এসে থাকে তবে কোন পথে এল? কারণ কাশ্মীর কার্যত গৃহবন্দি। তা হলে কি এরা পঞ্জাব সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছে? এ সব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।
তবে সন্দেহের পাল্লা স্বাভাবিক ভাবেই পাকিস্তানের দিকে ভারি। গত মাসে পঞ্জাবের তর্ণ তারণে উদ্ধার হয় আগুনে পোড়া ড্রোন। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ড্রোনটি দিয়ে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছিল পাকিস্তান থেকে।
সেই ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে এনআইএ-কে। এনআইএ-র অবশ্য দাবি, ওই ড্রোনগুলি যে যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি তা যে কোনও দোকানে মেলে।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর থেকেই জঙ্গি হামলার আশঙ্কা জোরদার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের উপরে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলেও জানান গোয়েন্দারা।
কিছু দিন আগে গুজরাতের স্যর ক্রিক উপকূলে উদ্ধার হয়েছিল একাধিক পরিত্যক্ত নৌকা। পরে সেনার সাদার্ন কমান্ডের প্রধান এস কে সাইনি জানান, দক্ষিণ ভারতে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy