রাস্তায় দাঁড়িয়ে একের পর এক গাড়ি থেকে তোলা তুলছিলেন চার পুলিশ কনস্টেবল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এক মহিলা পুলিশ আধিকারিক। তাঁর নির্দেশ কানে তো তোলেনইনি, বরং আধিকারিককে গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টা করেন চার কনস্টেবল! উত্তরপ্রদেশের ওই ঘটনায় চার পুলিশ কনস্টেবলকে দোষী সাব্যস্ত করেছে নিম্ন আদালত। শুক্রবার বিচারকের নির্দেশে জেলযাত্রা হল চার পুলিশকর্মীর।
ঘটনাটি ২০১০ সালের। তখন এসপি ট্র্যাফিক পদে কর্মরত ছিলেন আইপিএস অফিসার কল্পনা সাক্সেনা। তিনি অভিযোগ পান, তাঁর ডিপার্টমেন্টের চার জন কনস্টেবল পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড় করিয়ে তোলা তুলছেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কল্পনা। তাঁর সঙ্গে ছিল কয়েক জন পুলিশকর্মী। অভিযুক্তেরা যাতে তাঁকে চিনতে না পারেন, সে জন্য পুলিশের গাড়ি ব্যবহার না করে নিজের গাড়িতে সংশ্লিষ্ট স্থানে গিয়েছিলেন কল্পনা। তিনি গিয়ে দেখেন, যা শুনেছেন তা-ই ঠিক। চার কনস্টেবল রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে ঘুষ নিচ্ছেন।
কল্পনা চার জনকে ধরতে যেতেই তাঁরা গাড়ি করে পালানোর চেষ্টা করেন। অভিযুক্তদের আটকানোর জন্য গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন পুলিশ আধিকারিক। অভিযোগ, তাঁকে ধাক্কা মেরে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান চার অধস্তন। গুরুতর জখম হন এসপি ট্র্যাফিক কল্পনা।
ওই ঘটনায় এফআই দায়ের হয়েছিল। বিভাগীয় তদন্ত হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ওই মামলার তদন্তের পরে সম্প্রতি চার্জশিট জমা পড়েছে আদালতে। শুক্রবার মামলাটির শুনানি ছিল। তাতে রবীন্দ্র, মনোজ কুমার, রবীন্দ্র সিংহ এবং ধর্মেন্দ্র নামে চার কনস্টেবলকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। তাঁদের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১০ ব্যাচের আইপিএস অফিসার কল্পনা এখন গাজ়িয়াবাদ পুলিশ কমিশনারেটের ডিআইজি হিসাবে কর্মরত।