Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
UNLF Militants

সীমান্তে আত্মসমর্পণ ৩৪ মেইতেই জঙ্গির

মায়ানমারের ভিতরে চলা সংঘর্ষে আসাম রাইফেলসের ভূমিকা নিয়ে ওঠা প্রশ্নে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহের কাছে জবাব দাবি করলেন শিবসেনার রাজ্য সভাপতি এম তোম্বি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ০৯:১২
Share: Save:

মায়ানমার থেকে মণিপুরে ঢোকার চেষ্টা করার সময়ে মেইতেই জঙ্গি সংগঠন ইউএনএলএফের পাম্বেই শাখার ৩৪ জন সশস্ত্র জঙ্গি আসাম রাইফেলসের কাছে আত্মসমর্পণ করল। মায়ানমারের ভিতরে থাকা মেইতেই জঙ্গিদের উপরে কেএনএ-বি ও পিডিএফ জঙ্গিরা নাগাড়ে আক্রমণ চলছে। তার জেরেই পালাতে বাধ্য হচ্ছে জঙ্গিরা।

মায়ানমারের ভিতরে চলা সংঘর্ষে আসাম রাইফেলসের ভূমিকা নিয়ে ওঠা প্রশ্নে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহের কাছে জবাব দাবি করলেন শিবসেনার রাজ্য সভাপতি এম তোম্বি। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই কামজং জেলা ঘেঁষা মায়ানমার সীমান্তের আসাং খুল্লেনে গোলাগুলি চলছে। কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালানো নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন আই-এম দাবি করেছে, ভারতই মায়ানমারের ভিতরে কেএনএ (বি) ও পিপলস ডিফেন্স ফোর্সকে মদত দিয়ে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে এবং কুকিদের ইচ্ছেমতো সীমান্ত পার করে ওপারে মেইতেই জঙ্গিদের উপরেও আক্রমণ করতে পাঠাচ্ছে। তোম্বি বলেন, ‘‘সীমান্তের দু’পাশে থাকা কুকি জঙ্গিদের সব রকম সাহায্য দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে। এখন মনে হচ্ছে সত্যিই আসাম রাইফেলস একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের পক্ষ নিয়ে সীমান্তের দু’পারেই সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।’’

মণিপুরে কোইরেংয়ের উইয়ক গ্রামে কুকি জঙ্গিরা গুলি করা শুরু করলে আটকে পড়েন মেইতেই মহিলা গোষ্ঠী মেইরা পাইবির বেশ কয়েক জন সদস্য। খবর পেয়ে আসাম রাইফেলস ও সেনা সেখানে অভিযান চালায়। তার মধ্যেই নিরাপদে ৭৫ জন মেইরা পাইবি সদস্যকে উদ্ধার করে লেইমারামে নিয়ে আসা হয়। চূড়াচাঁদপুরে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে পুলিশের থেকে লুঠ করা ১টি এসএলআর, ৪টি একনলা রাইফেল, ১টি পিস্তল, ২টি হেভি মর্টার। পশ্চিম ইম্ফলে ৩০ বছর বয়সি এক ডিজ়াইনারকে গুলি করেছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, জখম ওই ডিজ়াইনারের নাম লইশরাম কুমারজিৎ।

মণিপুরের উপদ্রুত পার্বত্য জেলাগুলিতে থাকা ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীদের দেওয়া আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ বাড়াতে রাজ্যকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কুকিদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন জমা দিয়ে বলা হয়েছিল, এখন শুধুই ইম্ফলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছিল, যা পর্যাপ্ত নয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ শুনানির পরে জানায়, পরীক্ষার্থীদের মাথা পিছু অর্থসাহায্যের পরিমাণ দিনে তিন হাজার করে তিন দিনের জন্য ৯ হাজার টাকা করতে হবে এবং শুধু ইম্ফলে পরীক্ষা দিতে যাওয়া ছাত্রছাত্রীই নয়, পাহাড়ের যে কোনও পরীক্ষার্থীকেই ভিন্ রাজ্যের পরীক্ষাকেন্দ্রের ক্ষেত্রেও সেই সুবিধে দিতে হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Assam Rifles militants
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy