(বাঁ দিকে) সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ছবি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
লোকসভা শেষ দফার ভোটের প্রচারের শেষ দিন শনিবার। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, প্রচারের সন্ধ্যায় কন্যাকুমারীতে ৪৮ ঘণ্টার ধ্যানে বসছেন নরেন্দ্র মোদী। দেশের মূল ভূখণ্ডের অদূরে যে শিলার উপর বসে ধ্যান করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ, সেই ‘ধ্যানমণ্ডপমে’ বসে ধ্যান করবেন মোদী। এ নিয়ে যখন চর্চা, তখন প্রকাশ্যে এল মোদীর পুরনো এক ছবি। যা তোলা হয়েছিল সেই কন্যাকুমারীতেই। যদিও ছবিটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
১৯৯১ সালের ১১ ডিসেম্বর কন্যাকুমারীর ‘বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল’-এর সামনে তোলা সেই ছবিতে নরেন্দ্র মোদী এবং মুরলীমনোহর জোশী-সহ বিজেপির অন্য নেতাদের স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির কাছে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে দেখা যাচ্ছে। ওই দিন কন্যাকুমারী থেকে ‘একতা যাত্রা’ শুরু করেছিল বিজেপি, যা ১৯৯২ সালের ২৬ জানুয়ারি কাশ্মীরে শেষ হয়েছিল। ‘একতা যাত্রা’র নেতৃত্বে ছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা মুরলীমনোহর। মোদী তখন ৪০ বছর বয়সি যুবক। এক জন সাধারণ বিজেপি কর্মী। যদিও ওই পদযাত্রা আয়োজন করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। ৩৩ বছর আগে বিজেপির ‘একতা যাত্রা’র শুরুর দিনে তোলা মোদীর সেই ছবিই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল।
শনিবার আবার সেই কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। দু’দিনের জন্য ধ্যানমগ্ন হবেন তিনি। সারা দেশ ঘুরে ১৮৯২ সালে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে এসেছিলেন বিবেকানন্দ। মূল ভূখণ্ড থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি শিলায় বসে তিন দিন ধ্যান করেছিলেন তিনি। সেখানেই বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগর, আরব সাগরের মিলন হয়েছে। মনে করা হয়, সেখানেই আলোকপ্রাপ্ত হন বিবেকানন্দ। হিন্দু ধর্মে কথিত, যেখানে শিবের জন্য তপস্যা করেছিলেন পার্বতী, সেখানেই রয়েছে ওই শিলা। ওই শিলার উপর নাকি পার্বতীর পায়ের চিহ্নও রয়েছে। সেই শিলা— ‘ধ্যানমণ্ডপমে’ ধ্যানে বসবেন মোদী।
এর আগে দু’বার লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষে আধ্যাত্মিক সফরে বেরিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচার শেষে গিয়েছিলেন কেদারনাথ। ২০১৪ সালে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রতাপগড় দুর্গে। এ বার যাচ্ছেন দক্ষিণ ভারতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy