প্রতীকি ছবি।
মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক ব্যবহারের অভিযোগে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান, আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট, মুনমুন ধমেচারা। প্রমোদতরী থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ গ্রাম চরস, ১৩ গ্রাম কোকেন, ২২টি এমডিএমএ বড়ি। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, মাদকের চোরাস্রোতে কতটা গা ভাসিয়েছে দেশের কৈশোর? ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, গত দু’দশকের মাদক মামলায় অভিযোগ দায়েরের পরিমাণ বেড়েছে ২৯৮ শতাংশ! যা চোখ কপালে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। এই বিপুল বৃদ্ধি ইঙ্গিত করছে দেশে মাদকের রমরমা ঠিক কতটা বেড়েছে।
২০২০ সালে বিজেপি সাংসদ রাজীবপ্রতাপ রুডির একটি প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রত্তনলাল কাটারিয়া লোকসভায় জানান, দেশে সেই মুহূর্তে ১ কোটি ৪৪ লক্ষ অনূর্ধ্ব ১৮ কিশোর-কিশোরী কোনও না কোনও মাদক কিংবা মদের নেশায় আসক্ত।
মন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে, ৪০ লক্ষ কিশোর-কিশোরী আফিম জাতীয় নেশায় আসক্ত। যেখানে ১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়সিদের মধ্যে আফিম জাতীয় নেশা করার সংখ্যা ১ কোটি ৯০ লক্ষ।
ইনহ্যালেন্ট বা শুঁকে নেশায় আসক্তদের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ১৮-দের মধ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ। ১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৬০ লক্ষ।
সেডাটিভ বা ঘুমের ওষুধ জাতীয় নেশায় আসক্ত ২০ লক্ষ অনূর্ধ্ব ১৮ কিশোর-কিশোরী। সেখানে ১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়সিদের মধ্যে এই সংখ্যা ১ কোটি ১০ লক্ষ।
ক্যানাবিস বা গাঁজা জাতীয় মাদকে আসক্ত অনূর্ধ্ব ১৮-দের সংখ্যা ২০ লক্ষ। ১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়সিদের মধ্যে এই সংখ্যা ২ কোটি ৯০ লক্ষ।
হ্যালুসিনোজেন বা বিভ্রম সৃষ্টিকারী মাদকে আসক্ত অনূর্ধ্ব ১৮-দের সংখ্যা ২ লক্ষ। ১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়সিদের মধ্যে এই মাদকে আসক্তের সংখ্যা ২০ লক্ষ।
কোকেন সেবন করে এমন ১৮ অনূর্ধ্বের সংখ্যা ২ লক্ষ। ১৮ ঊর্ধ্বদের মধ্যে এই নেশায় আসক্তদের সংখ্যা ১০ লক্ষ।
এ ছাড়াও রয়েছে মদের নেশা। লোকসভায় পেশ করা রিপোর্ট বলছে, অনূর্ধ্ব ১৮-দের মধ্যে মদে আসক্তদের সংখ্যা ৩০ লক্ষ। একই হিসেব বলছে, ১৮ ঊর্ধ্বদের মধ্যে মদের নেশা করেন ১৫ কোটি ১০ লক্ষ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত দুই দশকে মাদকাসক্তদের পরিমাণ বেড়েছে লাফিয়ে। একটি পরিসংখ্যান বলছে, গত দু’দশকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাব্সস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনে অভিযোগ দায়েরের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৯৮ শতাংশ। ১৮ অনূর্ধ্বদের মধ্যে এর বৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসল সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। কারণ বিভিন্ন সময় মাদক নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ নথিভুক্তই হয় না। ২০২০ সালে লোকসভায় পেশ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অনূর্ধ্ব ১৮-দের মধ্যে দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার ওপিঅয়েড জাতীয় মাদকের। এই জাতীয় মাদকের মধ্যে পড়ে আফিম, মরফিন, হেরোইন, স্ম্যাক্ প্রভৃতি।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, অতিমারির সময় অর্থাৎ ২০২০ সালে এনডিপিএস আইনে ধৃতের সংখ্যা ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৬৪। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৩ এবং ২০১০ সালে মাত্র ৮২ জনকে এই আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy