প্রতিনিধিত্ব মূলক ছবি।
মণিপুরে হিংসার ঘটনাগুলির তদন্তের জন্য ২৯ জন মহিলা আধিকারিক-সহ মোট ৫৩ জন অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ কথা সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তকারী দলে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসাবে রয়েছেন ডিআইজি স্তরের তিন জন মহিলা অফিসার। পুরো তদন্তপ্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধান করবেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়। সিবিআইয়ের ইতিহাসে কখনও কোনও ঘটনাপর্বের তদন্তে এত বিপুল সংখ্যক অফিসার নিয়োগ করা হয়নি বলে সংস্থাটির একটি সূত্র জানাচ্ছে।
সিবিআই তদন্তকারী দলে দু’জন অতিরিক্ত সুপার এবং ছ’জন ডেপুটি সুপার পদমর্যাদার মহিলা অফিসারও রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই মণিপুরে মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসার মামলাগুলির তদন্তে সিবিআইয়ের এই ‘তৎপরতা’ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মণিপুরের কংপোকপি দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনার ভিডিয়ো (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) এবং গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে গত ২০ জুলাই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর পরে গত ৮ অগস্ট মণিপুর হিংসার তদন্ত এবং হিংসার ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উপর নজরদারির জন্য হাই কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়েছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
সেই সঙ্গেই শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, মণিপুরে হিংসার ঘটনার তদন্তে যুক্ত ৪২টি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর উপর নজরদারি করবেন ভিন্রাজ্যের ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকেরা। এক জন ডিআইজি ছ’টি সিটের উপর নজরদারি করবেন। ওই দিনের শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি শীর্ষ আদালতকে জানান, কংপোকপির ঘটনা-সহ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ১১টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সিবিআই তদন্তকারী দলে দু’জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট তখন নির্দেশ দিয়েছিল, ভিন্রাজ্যের পাঁচ জন ডিএসপি স্তরের অফিসার সিবিআই তদন্তের উপর নজরদারি করবেন। তাঁদের উপরে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার দত্তাত্রেয় পড়সলগিকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy