বালেশ্বরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ফাইল চিত্র।
ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর প্রায় মাসখানেক অতিক্রান্ত। মৃতদের মধ্যে ৮১টি অশনাক্ত দেহ ভুবনেশ্বর এমসে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ২৯টি দেহ শনাক্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ। ছ’টি দেহ পরিবারের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে। বাকি দেহগুলি নির্দিষ্ট গন্তব্যে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ভুবনেশ্বর পুরসভার মেয়র সুলোচনা দাস জানিয়েছেন, যে দেহগুলি শনাক্ত করা গিয়েছে, তাদের মধ্যে ছ’জনের পরিবারের সদস্যেরা এমসে এসে দেহ নিয়ে গিয়েছেন। বাকি দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ২৯টি দেহ শুক্রবার শনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এমসে সংরক্ষিত দেহগুলি যে হেতু শনাক্ত করা যায়নি, এক একটি দেহ নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছিল। অনেকেই দাবি করছিলেন, দেহটি তাঁর পরিজনের। একটি দেহ নিয়ে ১৫টি পরিবারের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছিল। এই জটিলতা কাটাতে এমস এবং রেলের তরফে ডিএনএ পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়। দিল্লির সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি থেকে ২০ দিন পর তার রিপোর্ট এসেছে।
৮১টি মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য মোট ৮৮টি ডিএনএ নমুনা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল। যে ছ’জনের দেহ পরিবারের হাতে শুক্রবার তুলে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন বিহার এবং দু’জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এ ছাড়া, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের এক জন করে বাসিন্দাও আছেন ওই তালিকায়।
পশ্চিমবঙ্গের আদ্রার বাসিন্দা সমীর বাউরি, পূর্ব মেদিনীপুরের মানস মাইতি, বিহারের পূর্ণিয়ার সুরজ কুমার ঋষি, বালিয়ার সুজিত কুমার, ঝাড়খণ্ডের ভীম চৌধুরি, ওড়িশার ব্রহ্মকান্ত দাসের দেহ শুক্রবার শনাক্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রেলের তরফে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও পেয়েছেন তাঁরা। শুধু ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দার আধার কার্ডের সমস্যার কারণে ক্ষতিপূরণের টাকা তাঁর পরিবারকে এখনও দেওয়া যায়নি।
গত ২ জুন বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। লুপ লাইনে ঢুকে একটি মালগাড়িতে ধাক্কা মারে ট্রেনটি। লাইনচ্যুত বগিগুলি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। সেই লাইন দিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় ২৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি। মৃতদের মধ্যে ৮১ জনের দেহ এত দিন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এখনও যে ৫২টি দেহ অশনাক্ত, সেগুলি এমসে বিশেষ পদ্ধতিতে -১৭ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
এ দিকে, করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্ত করছে রেলওয়ে সেফ্টি কমিশন। তারা রেল বোর্ডের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তার মাঝে শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে কর্নাটকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy