ফাইল ছবি।
সরকারি গাফিলতির সমালোচনা আর আমজনতার মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কের বাতাবরণে সংক্রমণ রুখতে কড়াকড়ির নিরিখে বিশ্বের অন্য দেশগুলির নিরিখে ভারত কিন্তু আরও এগিয়ে যেতে চলেছে। গত ১ এপ্রিল এই তালিকায় থাকা দেশগুলির মধ্যে ভারত ছিল ৫৮ নম্বরে। তার ২৯ দিন পর গত ৩০ এপ্রিল ভারতের স্থান হয় ৭৪। কিন্তু তার পর সংক্রমণ রুখতে যে ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে ভারতের একের পর এক রাজ্য আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি, তাতে এই তালিকায় ভারত আরও উপরে উঠে আসতে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
এর কৃতিত্ব দাবি করতে পারে দেশের ২৬টি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। যেখানে হয় পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে বা আংশিক অথবা এমন কোনও কঠোর ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়েছে, যা প্রায় লকডাউনেরই সমতুল।
এই তালিকা তৈরি করা হয় যে সূচকের ভিত্তিতে তার নাম ‘বিশ্ব কঠোর ব্যবস্থা সূচক' (গ্লোবাল স্ট্রিনজেন্সি ইনডেক্স)। অতিমারি শুরুর পর থেকেই এই তালিকা তৈরি করে অক্সফোর্ড করোনাভাইরাস গভর্নমেন্ট রেসপন্স ট্র্যাকার। তালিকা বানাতে সূচক হিসাবে ধরা হয় স্কুল, কলেজ, অফিসকাছারি পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে কি না, যাবতীয় জনসমাবেশ বাতিল করা হয়েছে কি না, জটলা, মানুষের বাইরে বেরনোর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে কি না, গণপরিবহণ বন্ধ করা হয়েছে কি না বা স্বাভাবিকের চেয়ে তা কতটা কমানো হয়েছে ইত্যাদি।
গত বছরের মার্চে সংক্রমণের প্রথম তরঙ্গের সময় যখন দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়েছিল, তখন এই তালিকায় ভারত ছিল ১০০ নম্বরে।
অক্সফোর্ডের এই ট্র্যাকার জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে ভারতের জনসংখ্যার অন্তত ৯৮ শতাংশই কোনও না কোনও ভাবে লকডাউন বা সমতুল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।
ইতিমধ্যেই পূর্ণ লকডাউন জারি হয়েছে তামিলনাড়ু, কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, রাজস্থান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে। পূর্ণ লকডাউন না হলেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে গুজরাত, তেলঙ্গানা, অসম ও হিমাচল প্রদেশে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy