Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Assam Flood

কাজিরাঙার গন্ডার, হরিণ, বুনো মহিষেরা ভাসছে বন্যার জলে! প্রায় ২০০ বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কা

কাজিরাঙার বড় অংশই এখন জলমগ্ন। ডুবেছে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশও। প্রতি বারই এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় উদ্যানের বন্যাপ্লাবিত অঞ্চল থেকে কার্বি পাহাড় পাড়ি দেয় বন্যপ্রাণীরা।

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ২৩:২০
Share: Save:

প্রতি বছরই নিয়ম করে বন্যায় ওলটপালট হয়ে যায় অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ‘জীবনচক্র’। এ বারের বর্ষাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। দু’কূল ছাপিয়ে চলে আসা ব্রহ্মপুত্রের জলে ডুবেছে জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যেই গন্ডার, বুনো মহিষ, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ-সহ অন্তত ২০০ বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। তাদের মধ্যে অন্তত ১০টি গন্ডার রয়েছে।

কাজিরাঙার বড় অংশই এখন জলমগ্ন। ডুবেছে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশও। প্রতি বারই এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় উদ্যানের বন্যাপ্লাবিত অঞ্চল থেকে কার্বি পাহাড় পাড়ি দেয় বন্যপ্রাণীরা। তাদের অনেকে জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারায়। শুকনো ডাঙার খোঁজে গভীর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা বন্যপ্রাণীদের উপর ‘নজর’ থাকে চোরাশিকারিদেরও। ফলে বনকর্মীদের চালাতে হয় বাড়তি নজরদারির কাজ। অসমের বিভিন্ন বন্যপ্রাণপ্রেমী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকেরাও তাঁদের সহায়তা করতে হাজির হয়েছেন কাজিরাঙায়।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্রপ্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত দু’দিনে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে বনকর্মীদের ৪৬টি ক্যাম্প এখনও জলের তলায়। ১৩০০ বর্গ কিলোমিটারের কাজিরাঙা বিশ্বে একশৃঙ্গ গন্ডারের সবচেয়ে বড় আবাসভূমি। সংখ্যায় তারা আড়াই হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে ১৩৫টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও রয়েছে অসমের এই অরণ্যে। বন্যায় তাদের অনেকেই ‘ঘরছাড়া’। তবে বন্যার জল নামলেই শুরু হবে জীবনসংগ্রামের নয়া অধ্যায়। নতুন ঘাসে ঢাকা জঙ্গলে ফের ঘর বাঁধা, ফের বংশবৃদ্ধির পালা শুরু হবে ফি বছরের মতোই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy