—ফাইল চিত্র।
আচমকা ওভারহেডের তার ছিঁড়ে ঝাড়খণ্ডের কোডারমার কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়ল পুরী-নয়াদিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস। আপৎকালীন ব্রেক কষার ফলে ট্রেনের মধ্যে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হলেন দুই যাত্রী। পরে ট্রেনেই মৃত্যু হল তাঁদের। মৃতদের মধ্যে ছবি শেখের বাড়ি মুর্শিদাবাদ ও সঞ্জয় মাঝির বাড়ি বিহারের গয়ায় বলে জানিয়েছে রেল। কী ভাবে যাত্রীরা এতখানি মারাত্মক আহত হলেন তা নিয়ে চিন্তিত রেলও।
রেল সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে দুর্ঘটনার সময়ে ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল। ঝাড়খণ্ডের কোডারমা এবং গোমো স্টেশনের মাঝে পারসাবাদ লাগোয়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আচমকা ওই ট্রেনের ওভারহেডের তার ছিঁড়ে পড়তে দেখে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আপৎকালীন ব্রেক কষেন ট্রেনের চালক। তখনই ট্রেনের মধ্যে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন ছবি, সঞ্জয় ও বিহারের রাজগীরের বাসিন্দা বাল্মীকি চৌধরি । প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আহতদের মধ্যে এক জনের মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পরে ২ ঘণ্টা ধরে আহত যাত্রীরা যন্ত্রণায় ছটফট করলেও তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। মৃত দুই যাত্রী ট্রেনের স্লিপার কামরার যাত্রী ছিলেন।
ঘটনার পরে পূর্ব মধ্য রেলের গ্র্যান্ড কর্ড শাখায় প্রায় চার ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকাজের জন্য দুর্ঘটনাস্থলে রেলের আধিকারিকদের পৌঁছতেও বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। একটি ডিজ়েল ইঞ্জিন পাঠিয়ে ট্রেনটিকে কোনওমতে গোমো পর্যন্ত টেনে আনা হয়। তার পরে সেখান থেকে ফের বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন লাগিয়ে ট্রেনটি নয়াদিল্লি অভিমুখে রওনা হয়।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি সম্পর্কে রেলের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, যাত্রিবাহী ট্রেনের কামরার মধ্যে সফর করার সময়ে বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন ওই দুই যাত্রী গুরুতর আহত হলেন তা নিয়ে চিন্তিত রেল। দীপাবলির আগে ট্রেনটিতে ঠাসাঠাসি ভিড় ছিল বলে অভিযোগ।
যে ভাবে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতিতে ছোটার সময়ে চালক কোন পরিস্থিতিতে কেন আচমকা আপৎকালীন ব্রেক কষেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy