প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
কাজ দেওয়ার নাম করে ১৯ বছরের এক তরুণীকে পাচারের অভিযোগে এক মহিলা-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ওই মহিলা তরুণীকে কাজের টোপ দিয়ে পাচার করেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তি ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কিনেছিলেন ওই তরুণীকে। তার পর তরুণী গর্ভবর্তী হয়ে পড়েন। তরুণী সন্তানের জন্ম দিলে সন্তান নিয়ে তরুণীকে ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণীর বাড়ি ছত্তীসগঢ়ের জগদলপুরে।
পুলিশ জানিয়েছে, নারী পাচারে অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম মমতা আগরওয়াল। তিনি রায়পুরে থাকেন। কমবয়সী মেয়েদের কাজের লোভ দেখিয়ে অন্য রাজ্যে পাচার করেন তিনি। শেফালি এবং কেশব নামের দু’জন মমতার এই চক্রে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ১৯ বছরের ওই তরুণী পুলিশে অভিযোগ করেন, গত বছর তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল শেফালি, মমতা এবং কেশবের। মধ্যপ্রদেশের রায়সেনে তাঁকে কাজ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।
অভিযুক্তদের কথা মতো বাড়িতে কিছু না জানিয়েই কেশবের সঙ্গে কাজের জন্য যান ওই তরুণী। তাঁর বাড়ির লোকও ভেবেছিলেন, মেয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তাই তাঁরা আর পুলিশে অভিযোগ জানাননি। কিন্তু রায়সেনে গিয়ে তরুণী বুঝতে পারেন, সেখানে কোনও কাজ নেই। কেশবও তাঁকে জানায়, ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মমতার কাছ থেকে তাঁকে কিনেছেন তিনি। তরুণীকে বিয়েও করে কেশব। ইতিমধ্যেই ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সন্তানেরও জন্ম দেন তিনি। সন্তান জন্মের মাস দুয়েক পর ওই তরুণী দেখেন তাঁর সন্তান নেই। পালিয়েছে কেশব। তার পর একাই জগদলপুরে ফিরে কেশব, সেফালি এবং মমতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান তিনি।
এর পরই তদন্তের জন্য বিশেষ দল গড়ে পুলিশ। একটি দল কেশবের খোঁজে রায়সেন যায়। অপর দল। একটি দল শেফালির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যে কেশবকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি শিশুটিকে মমতার হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। যদিও শিশুটির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। কেশব ও শেফালিকে গ্রেফতার করে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শিশু এবং নারী পাচার চক্রের পাণ্ডা মমতার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy