দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির নিম্ন আদালত জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দিল্লি হাই কোর্ট। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়াল বার বার জামিনের আর্জি জানিয়ে মুক্তি পাচ্ছেন না। জামিনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে জারি করা হচ্ছে নতুন তারিখ। ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখলেন ১৫০ জন আইনজীবী।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে এই চিঠি লেখা হয়েছিল প্রধান বিচারপতিকে। সেখানে একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে সম্প্রতি কেজরীওয়ালের জামিন স্থগিতাদেশের কথা বলা হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত আবগারি মামলায় কেজরীওয়ালের জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ আপলোড হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি দিল্লি হাই কোর্টে তার বিরোধিতা করে। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন ইডিকে মামলা করার অনুমতি দেন এবং তার পরের দিনই মামলাটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। নিম্ন আদালতের আদেশ আপলোড হওয়ার মধ্যেই গোটা ঘটনা ঘটে যায়। এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়।’’
ন’পাতার চিঠিতে আইনজীবীরা বলেছেন, ‘‘ভারতীয় বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। এ দেশের জনগণ অত্যন্ত আশা এবং আস্থা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। এই আস্থাকে বিচারব্যবস্থা এবং আইনজীবীদের মাধ্যমে সুরক্ষিত করে রাখতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানাচ্ছি। আশা করি, দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’’
পাশাপাশি, প্রতি শুনানিতে জামিনের আর্জির উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে তারিখের পর তারিখ দেওয়ার বিষয় নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করা হয়েছে চিঠিতে। বিশেষ করে ইডি, সিবিআইয়ের জড়িয়ে থাকা মামলাগুলির ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা বার বার লক্ষ করা যায়। চিঠিতে বলা হয়, ‘‘এই বিষয়গুলি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy