৫ বছর জেল খাটার পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুক্তি নাবালক অপরাধীর। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আইনে নেই। তবুও ৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের মামলার অপরাধী ১৫ বছরের কিশোরকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত এবং হাই কোর্ট। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আসার পরে ওই অপরাধীকে মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। যদিও ইতিমধ্যেই জেলে ৫ বছর কেটে গিয়েছে ওই নাবালক অপরাধীর।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশের ধার জেলায় ৪ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটেছিল। দ্রুত তদন্ত করে পুলিশ ওই নাবালককে গ্রেফতার করে। এর পর নিম্ন আদালত ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ফাঁসির সাজা দেয়। মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টও সেই সাজা বহাল রাখে। এর পর ওই নাবালক অপরাধী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালে গত ৩ মার্চ বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ ফাঁসির সাজা বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করে।
কিন্তু তার পরেই পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন। নিম্ন আদালতের একটি রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘‘অনুসন্ধান করে দেখা গিয়েছে অপরাধের সময় সাজাপ্রাপ্তের বয়স ছিল ১৫ বছর ৪ মাস।’’ জুভেনাইল জাস্টিস (শিশুদের ন্যায়বিচার) আইন, ২০১৫ অনুযায়ী, ১৬ বছরের কম বয়সি কেউ ‘জঘন্য অপরাধ’ করেছে বলে প্রমাণিত হলে, ৩ বছরের সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে। আইন বলছে, ওই সময়সীমায় বিশেষ বাড়িতে থাকার সময় শিক্ষা, উদ্ভাবনী দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ, কাউন্সেলিং, মানসিক সহায়তা-সহ বিভিন্ন পরিষেবা পাবে নাবালক অপরাধী। ইতিমধ্যেই ৫ বছর জেলে কাটানোয় ওই নাবালক অপরাধীকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy