টানা লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে সোমবার ধুবুরির বাসিন্দাদের ডাকা ২৪ ঘন্টা ধুবুরি শহর বনধ-এর জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হল। পাশাপাশি, দাবিকে ঘিরে আন্দোলন থেকে ছড়াল উত্তেজনাও। এদিন ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা ধুবুরির জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় ২ ঘন্টা জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করে রাখার পর বিক্ষুদ্ধ জনতাকে হটাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের দাবি, ২০ জন পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছেন।
পুলিশের দাবি, বিক্ষোভ চলাকালীন বাসিন্দাদের একাংশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিস বড়ুয়াকে ধাক্কাধাক্কি করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “বিক্ষোভকারীরা ধাক্কাধাক্কি করছিলেন, পুলিশ কর্মীরা তাঁদের লাঠি উঁচিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। কয়েকজন সামান্য জখম হলেও হতে পারেন।” আর বিদ্যুতের সমস্যা প্রসঙ্গে ধুবুরির জেলাশাসক কুমুদ চন্দ্র কলিতা বলেন, “সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।” গত রবিবার রাতে ধুবুরির একদল ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা রাস্তায় বার হয়ে সোমবার বন্ধ করা হবে বলে ঘোষণা করতে থাকেন। তা মুখে মুখে চাউর হয়েই এদিনের বন্ধের চেহার নেয়। ব্যবসায়ীরাও তাতে সামিল হন। এদিন সকাল থেকে ধুবুরি শহরের সবরকমের দোকানপাট, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান স্কুল, ব্যাঙ্ক-সহ সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ধুবুরির ব্যবসায়ীর এবং বাসিন্দারা পরিষেবা স্বাভাবিক করা না হলে ভোট বয়কটের পাশাপাশি আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা ধুবুরির ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য রবীন্দ্র টোডি জানান, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে, যে কোনওদিন টানা ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ হলে দিনটা ভালোভাবে কাটল বলে মনে হয়। পর্ষদ কর্তৃপক্ষকে বলার পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে বন্ধ করেছি। কাজ না হলে ভোট বয়কট। আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিনই ধুবুরি এবং লাগোয়া এলাকার দিনে ও রাতে পালা করে লোডশেডিং চলছে। টানা ৫-৬ ঘণ্টা করে লোডশেডিং-ও হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরাও সমস্যা পড়ছেন। গরমের মরশুমে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন অসম বিদ্যুৎ পর্ষদের ধুবুরির কর্তারাও। এই পরিস্থিতি সরবরাহের ঘাটতির জন্যই বলে তাঁরা জানান। পর্ষদের ধুবুরির বাস্তুকার মুকুল পাটোয়ারি বলেছেন, “চাহিদা ও জোগানের ফারাকের জেরে গোলমাল হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy