খোদ দূরদর্শনের পর্দায় বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী! তাও ভোটের এই গরম মরসুমের মাঝখানে।
আজ রাতে প্রচারিত নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শনে দেওয়া সাক্ষাৎকারটিকে কেন্দ্র করে গোটা দিনই কার্যত ঝড় উঠেছে মান্ডি হাউসে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে অভিনব। কারণ, সরকারি টিভি চ্যানেলে বিরোধী পক্ষের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর পুরোদস্তুর সাক্ষাৎকার এই প্রথম। সরকারি সূত্রের খবর, দূরদর্শনের এক সাংবাদিক ব্যক্তিগত উদ্যোগে দু’দিন আগেই মোদীর সাক্ষাৎকারটি নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু সেটি দেখানো হবে কিনা তা নিয়ে মনঃস্থির করতে পারছিল না দূরদর্শনের সংবাদবিভাগ। সাক্ষাৎকারে দূরদর্শনকে কিছুটা কটাক্ষও করেছেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। গুজরাত থেকে দূরদর্শনের সবচেয়ে বেশি আয় হলেও সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই দীর্ঘ দিন ওই চ্যানেলে ‘ব্ল্যাক আউট’ করে রাখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
দূরদর্শনের সংবাদবিভাগ চেষ্টা করছিল, কংগ্রেসেরও কোনও হেভিওয়েট প্রার্থী বা নেতার সাক্ষাৎকার পাশাপাশি দেখানোর। কিন্তু মোদীর সাক্ষাৎকারটি যে নিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে সেই খবরটি রাজনৈতিক শিবিরে এবং পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হয়ে যায়। একটি অদৃশ্য চাপ তৈরি হতে শুরু করে দূরদর্শনের উপর। বিষয়টি গোড়ায় জানতেন না প্রসারভারতীর সিইও জহর সরকার। কিন্তু আজ সকাল থেকেই তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষের অনুরোধ, অনুযোগ জমা হতে শুরু করে। বলা হয় যে মুখে নিরপেক্ষতার কথা বললেও, বিজেপি নেতার সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করতে গিয়ে পিছিয়ে আসছে প্রসারভারতী।
তৎক্ষণাৎ দূরদর্শনের ডিজি এস এম খানের সঙ্গে কথা বলেন জহরবাবু। দফায় দফায় বৈঠক হয়। সূত্রে প্রকাশ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকও বিষয়টি নিয়ে চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়ে। জহরবাবুর বক্তব্য, “মুখে পেশাদারিত্বের কথা বলে কাজে তা করা হবে না এটা অভিপ্রেত নয়। যদি হাতে গরম কোনও খবর পাওয়া যায় তবে সংবাদমাধ্যমের উচিত সেটি পরিবেশন করা।”
পাশাপাশি রাহুল গাঁধীর অফিসে যোগাযোগ করে দূরদর্শন। রাহুল না হলেও আগামিকাল কংগ্রেসের কোনও শীর্ষ নেতা একটি পাল্টা সাক্ষাৎকার দেবেন বলেই স্থির হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy