শীত সকালের মিঠে আমেজ যেন অনেকটা মায়ের আদরের ওম। বিশুদ্ধ আবেশ মাখা অনুপম প্রকাশ। কুয়াশার আবছায়া চাদরে ইদানীং একটু আস্তে আস্তে ঘুম ভাঙছে সকালের। অর্কদেব জাগছেন একটু দেরি করেই। ভোরের হাওয়ায় শীত শীত ভাব। শীত সকালে কম্বলের কুসুম কুসুম আদরটা, কাব্যি করে বলতে গেলে, কপালে লেগে থাকা চুল ঈষত্ সরিয়ে চুমু যেমন। জানলা দিয়ে গলে আসা এক ফালি রোদ্দুরের গায়ে আলগা লেপ্টে থাকছে শীত।
তবে এই প্রতিবেদনেই যখন লিখছি, এই প্রায় মধ্য ডিসেম্বরেই, মুম্বইয়ে শীতকাল গরম দিনের মতোই। ভোরের দিকটা মৃদুমন্দ হিমেল আমেজ এনে দিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মধ্য ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস! কোলাবা এবং সান্ত্রাক্রুজ এলাকায় এখন ২৩.০ এবং ৩০.৮ ডিগ্রি। পারদের নামাও কিন্তু ২০ থেকে ২৩ ডিগ্রিতেই রয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চলে তো তেমন ভাবে প্রকৃতির নিয়ম মেনে ঋতু বদলের হিমেল পরিবর্তনটা আসে না। দিন একটু ছোট হয়ে মাত্র। দিন চলে যায় রাতের দিকে। অঘ্রাণের কুয়াশা মাখা রাত গাঢ হয়। ঘুমিয়ে পড়ে বাইকেক পৃথিবী।
যাই যাই করছে অঘ্রাণের দিনও। এই সময় তো বাংলার গাঁ-গঞ্জে ঐতিহ্যবাহী এক শস্যোত্সব হয়— নবান্ন। এই সময় ক্ষেত থেকে নতুন আমন ধান তুলে ঘরে আনা হয়। সেই নতুন চাল থেকে প্রস্তুত রান্নার উত্সবনবান্ন। নবান্ন মানে নব অন্ন। হিন্দু রীতিতে নবান্ন উত্সবে নতুন অন্ন নিবেদন করতে হয় পিতৃপুরুষকে। এমনকী লৌকিক বিশ্বাস অনুযায়ী ওই অন্ন উত্সর্গ করতে হয় কাককেও। ‘কাকবলী’ নামের এই প্রথায় কাককে যে নতুন চালের অন্ন নৈবেদ্য দেওয়া হল, সেই খাদ্য নাকি পৌঁছে যায় স্বর্গস্থিত আত্মাদের কাছে। নতুন গুড় দিয়ে নতুন অন্ন পরিবারের সবাই গ্রহণ করেন। অঘ্রাণের নবান্ন-এর কথা লিখতে গিয়ে মনে পড়ে গেল সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ‘ছাড়পত্র’ নামের সেই বিখ্যাত কবিতার দু’টি লাইন: “এই হেমন্তে কাটা হবে ধান, আবার শূন্য গোলায় ডাকবে, ফসলের গান।”
নলেন গুড় বাজারে এলো মানেই শীত চলে এলো। কড়া পাক সন্দেশ-কাঁচাগোল্লায় চিনি বাদ। এমনকী রসোগোল্লাতেও! কয়েক মাস শুধুই নলেন গুড়। পৌষ পড়ল মানেই পিঠে পুলি। শীত-স্নাত ঘর যেমন একটু রোদ চায়, শীতের প্রচলিত মিষ্টান্নেও তেমনই খেজুর গুড়ের কারসাজি। খেজুর গাছের শরীরের উপর দিকে মাটির কলসী (এখন প্ল্যাস্টিকের প্যাকেট) বেঁধে রেখে জিরেন কাঠের রস সংগ্রহ পর্ব। এরপর সেই রসকে জ্বাল দিয়ে নির্দিষ্ট প্রণালীতে সুস্বাদু পাটালি গুড় তৈরি। গোটা পৌষ মাস জুড়ে নলেন গুড়ের পাটালি সহযোগে পিঠেপুলির বর্ণময় সংযোজন। চলবে সেই পৌষ সংক্রান্তি পর্যন্ত।
পৌষ পার্বণে পিঠেপুলির গল্প না হয় হল, কিন্তু বড় দিনের কেক খাওয়া? বড় দিন মানেই অবধারিত ভাবে বাঙালির কেক খাওয়া চাই-ই। সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই বাজারে রকমারি কেক-প্যাস্ট্রির এলাহি হাতছানি। ব্র্যান্ডেড, নামি-দামি, কম দামি, ঘরে তৈরি--- হাজারো কেকের পসরা। বড় দিনে এক টুকরো কেক মুখে না দিলে দিনটাকে ঠিক মতো সেলিব্রেট করাই হয় না।
সেই কোন শিশু বয়সে থেকেই জেনে এসেছি এই বড় দিনের সময় ফাদার সেনট নিকোলাস--- লাল রঙা আলখাল্লা গায়ে লাল টুপি, গ্লাভস-এ সেজেগুজে, কাঁধের ঝোলা থেকে নানা উপহার শিশুদের বিলিয়ে দেন। ধবধবে সাদা দাড়ির বুড়ো সান্তা ক্লজ বরফের উপর স্লেজ গাড়ি চালিয়ে ঘুরে বেড়ান। কোনও শিশুকে খালি হাতে রাখেন না। সব্বার জন্য তাঁর মস্ত ঝুলি ভর্তি হরেক খেলনা আর উপহারে মজুদ। ছোটবেলায় নার্সারি স্কুলের ম্যাম পড়া বোঝানোর মতো করে বুঝিয়েছিলেন, খিস্ট্রীয় চতুর্থ শতকে ফাদার নিকোলাস ছিলেন তুরস্কের বিশপ। তিনি শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। শিশুদের দেদার উপগার বিলোতেন।
নিকোলাস করতেন কী, তাঁর অধঃস্তন কয়েক জনকে গোটা বছর শহরর ছোটদের উপর বিশেষ ভাবে নজরে রাখার নির্দেশ দিতেন। দুষ্টু শিশুদের উপরও বিশেষ নজর রাখা হতো। সেি মতো স্থির করা হতো, দুষ্টুরা উপহারের সত্যি যোগ্য কি না। এখনও সেই গল্পকথা মনে আছে। মেয়েবেলায় এই বড় দিনের সময় কেক খাওয়া ছাড়াও বাবা-মা সান্তা ক্লজের রূপকের মতোই প্রতি বছর নতুন সোয়েটর বা পুলওভার এবং একটা গল্পের বই উপহার দিতেন। পুরনো সেই অনুভূতিটা হঠাত্ই মনে গাঢ হয়ে এলো।
আর ক্রিসমাস ক্যারোল?--- ‘Jingle bells, jingle bells/Jingle all the way’.
“জিঙ্গল বেল জিঙ্গল বেল” গানটির গীতিকার জেমস লর্ড পিয়েরপন্ট এটি লিখেছিলেন ১৮৫৭ সালে। প্রথমে এই রচনাটি ‘থ্যাংক্স গিভিং’ অনুষ্ঠানের জন্য লেখা হয়েছিল এবং জর্জিয়ার একটি চার্চে প্রথম গানটি গাওয়া হয়েছিল। গীতিকবিতাটির মূল নাম ‘One horse open sleigh’। মোট ছয়টি পংক্তি বিশিষ্ট গানটির ‘জিঙ্গল বেল জিঙ্গল বেল’ অংশটি কিন্তু দ্বিতীয় পংক্তিতে রয়েছে এবং যেটি সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়ে থাকে। ধর্মীয় সঙ্গীত হিসাবে এই ‘ক্যারোল’ সেই সময় থেকে আজও সমান জনপ্রিয়।
ক্রিসমাসের আরও কিছু বিখ্যাত ‘ক্যারোল’ আছে। এর মধ্যে আর একটি হল,
“Ding dong ding dong
that is their song
with joyful wing
all caroling one seems to hear
words of good cheer...”
কিংবা অন্য আরেকটি
“Joy to the worlds
the lord has come!
let earth receive her king...”
আসলে ‘ক্রিসমাস ডে’ হল সমস্ত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে আনন্দোত্সবের দিন। ‘Mery x-mass’। এ দিনটা উচ্ছল আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে বলা যেতেই পারে ‘Let us eat drink and be merry’। এই দিনটায় শিশু যিশু মর্তে এসেছিলেন। আবার আদি খ্রিস্টান মতে ২৫ ডিসেম্বরের ঠিক নয় মাস আগে মাতা মরিয়ামের গর্ভে প্রবেশ করেন প্রভু শিশু। ও দিকে আমরা ক্রিসমাস দিনটাকে ‘বড়দিন’ হিসাবেই ডাকি। আদপে এই সময় থেকেই সাধারণত দিন ক্রমশ বড় হতে থাকে আর রাত ক্রমশ ছোট হতে শুরু করে। বয়ে চলে যাপন।
ক্রমে ফুরিয়ে আসে বছরও। তবু কিছুতেই যেন চাদর মুড়ি দেওয়া শীত আসছে না। কফির কাপ থেকে দূরত্ব বাঁচিয়ে আলমারিতে তোলা আছে ওম জড়ানো কম্বল। কিছুটা শিশির হয়তো পড়ে আছে বুলেভার্ডে গাছের পাতায় কিংবা ঘাসজমিতে। অথচ গড়িয়ে যাচ্ছে বছর। প্রতিদিন বিপন্ন হচ্ছে নারীর সম্ভ্রম— খবরের কাগজের পাতা খুললেই। নতুন স্বপ্ন দেখার অধিকার খর্ব হচ্ছে যুবমানসের। সমাজবিরোধী আবহাওয়ায় কলুষিত হচ্ছে দৈনিক নিরাপত্তা। ভ্রষ্টাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না। কখনও প্রশাসনও নীরব থেকে যাচ্ছে। বছরভর না-পাওয়াই বেড়ে চলেছে সীমাহীন।
‘অপ্রাপ্তি’ শব্দটা শুনলেই যদিও মনটা কটু হয়ে আসে। ‘না-পাওয়া’ পুরো ব্যাপারটাই বিস্বাদ লাগে। প্রাপ্তির থেকে আমাদের অপ্রাপ্তির তালিকা এতটাই দীর্ঘ যে তার থেকে পালিয়ে বাঁচার বা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে জীবনকে অবাধে জড়িয়ে ধরারও কি উপায় আছে? প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুর্বিষহ না-পাওয়ার মোড়কে আমরা হাঁফিয়ে উঠি। নিজেদের ক্লান্ত প্রাণ মনে হয়।
আমরা হয়তো নিজেদেরই খুঁজে চলি। চারপাশে রাজনৈতিক পরিবেশ কখনও বা উত্তপ্ত হতে দেখি। এ হল সেই পরিবর্তিত সময় যেখানে দুঃসময়ের নিত্য আনাগোনা। সেখানে তেমন করে চেনাশোনা হয় না উজ্জীবনের গান। কারণ সেখানে কত জনই তো ধুলো উড়িয়ে চলে যায়। যখন শিক্ষার আঙিনায় প্রতিদিন আমদানি হয় নতুন নতুন আক্রমণের ছক। প্রকাশ্যে চলছে নিম্ন স্তরের ভাষা সংস্কৃতি। যা আমাদের শুধুমাত্র বিপর্যস্তই করে না, চিন্তিত করে, অসহায় করে তোলে। আমরা বুঝি প্রতিবাদী মনই সভ্যতার অহঙ্কার। মানুষের শুভ চেতনাই সমাজের মূল্যবান সম্পদ। কখনও শুভবোধসম্পন্ন মানুষের প্রতিবাদ চায়ের টেবিল ছেড়ে আছড়ে পড়ে রাস্তায়। কখনও বা সবটাই গিমিক।
অনেকগুলি মৃত্যুসংবাদ। কেউ হয়তো চেনা, কেউ অচেনা। সেই বছর শুরু থেকেই কত জন চলে গেলেন গোটা বছর জুড়ে। বছরটা চলে যেতে যেতে শেষ পাতাটাও উপড়ে নিয়ে চলেছে সঙ্গে। কেমন এক অজানা আশঙ্কায় থাকি। আমাদের আশঙ্কা মেশানো ভীতি ছড়িয়ে যায় আমাদের শিরা-উপশিরাতে। হে সময়, আর যেন কাউকে নিও না। আমরা মনে মনে প্রার্থনা জানাই। আমাদের চেনা ও অচেনা যে মানুষটি বার্ধক্যজনিত আপাত অসুস্থ, তিনি ভাল থাকুন। পরিবারের প্রত্যেকেই ভাল থাকুন। আরও বৃহত্ পরিমণ্ডলে দেখতে গেলে, খবরের কাগজে পড়া, টিভি-র স্ক্রিনে দেখা নিত্য হানাহানি, মৃতু-সংবাদ বন্ধ হোক। এমনকী সেই সব বিখ্যাত সেলিব্রিটি তকমাধারী মানুষেরা— যাঁদের অভিনয় মন দিয়ে দেখতে ভালবাসি। যে সব সফল-অসফল সঙ্গীতকারদের গান-বাজনা শুনতে ভালবাসি, কিংবা বাসি না, যাঁদের সাহিত্য না পড়লে আমাদের চলে না বা তাঁদের গদ্য, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, চিত্রনাট্য আমরা সবটা পড়ে উঠতেও পারিনি, কিন্তু তাঁর নামের সঙ্গে পরিচিত, যে বিজ্ঞানী, কারিগরি বিশারদ, খোলোয়াড়, দেশনেতা, চিকিত্সক, হিতৈষী সবাই ভাল থাকুন। আমাদের সমস্ত প্রিয়-অপ্রিয় মানুষরা ভাল থাকুন।
ডাউন মেমারি লেন দিয়ে চলতে চলতে হারিয়ে যেতে যেতেও থমকে যাই। সদ্য ফেলে আসা ২০১৪ ক্যালেন্ডারের সরণিতে চোখ আটকে থাকে। কত ঘটনার ঘনঘটা। লিখতে লিখতে তাত্ক্ষণিক কিছু কিছু মনে পড়ে যায়। কিছু আবার লেখার মুহূর্তটুকুতে মনে পড়ল না। পরে মনে পড়বে। তখন এও মনে হবে, ‘ইস এটা তো তখন মনে পড়েনি।’ এই যে দেশে সাধারণ নির্বাচন হল আর ‘আচ্ছে দিন’ সরকার এল ‘স্বচ্ছ ভারত’ গড়তে। অথবা বিশ্বকাপ বা আই পি এল। মঙ্গল গ্রহে পদার্পণ। কাশ্মীরের বন্যা। সারদা কেলেঙ্কারির সেই চাপান-ইতোর। ইবোলা ভাইরাস। হোক কলরব। চুম্বন-এর চমক দমক। কৈলাস সত্যার্থীর নোবেল পদক জয়। সঙ্গে পাকিস্তানি বালিকা মালালার নোবেলপ্রাপ্তি, মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস কিংবা গাজায় সংঘর্ষ। ও দিকে আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ। সচিনের আত্মজাবনী প্রকাশ। সারদায় জড়িতদের সি বি আই তলব। তরুণ ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজ, সিতারা দেবী, সদাসিব অম্রপুরকর, রবি চোপড়া, ইতিহাসবিদ তপন রায়চৌধুরী— এমন সদ্যপ্রয়াত ছাড়াও সমস্ত বছর জুড়ে নানান ব্যক্তিত্বের প্রয়াণ। কখনও মিডিয়ারই বিচারকের ভূমিকায়। আত্মহত্যার চেষ্টা আর অপরাধ বলে গণ্য না হওয়ার ল-কমিশনের সুপারিশ। গেরুয়া-সবুজ-লাল-এর আকচার দলবদল— এমন রোজ কত কীই না ঘটে চলেছে সারা ২০১৪ জুড়ে।
ওই যে, স্মৃতির সরণি ধরে চলতে চলতে নস্টালজিয়া কিছু দেয় আবার কিছু দেয় না। আমরা নানান পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিত্য মানিয়ে নিতে নিতে, যাপনে অভ্যস্ত হতে হতে, নতুন কিছু পাওয়ার আশায় হন্যে হয়ে থাকি। সংসারী মানুষের মতো মূল্যবোধের নোঙর আঁকড়ে পড়ে থাকি। আমরা সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি সব কালোকে জীবন থেকে সরিয়ে ফেলতে চাই। আত্মসম্মানবোধ, স্বার্থহীনতা এমন প্রবৃত্তি রক্ষার প্রয়াসে জীবনের অপ্রাপ্তিকে অগ্রাহ্য করে সেই না-পাওয়াগুলোকে সসম্মানে বিদায় জানাতে চাই। আমরা হয়তো নিজেদেরই খুঁজতে একটার পর একটা আয়নায় নিজেদের দেখে যাচ্ছি। অবিচ্ছেদ্য ধারাবাহিকতায় স্মৃতির সঙ্গে সেতু গড়ে নিচ্ছি। ভাবছি সেই পথেই বুঝি উত্তরণ। নিজেকে কি আয়নায় ঝাপসা দেখি? কিংবা আপাদমস্তক ভাঙচুড়? ভাবি আয়নাটাই কি খারাপ হয়ে গেল নাকি। তার পিছনে লেপা পারদের প্রলেপ কি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নাকি? নাকি তার নিজের কাজটাই সে করে দেখাচ্ছে। আপনাকে। আমাকে। বছর তো শেষ হতে চলল।
নতুন বছরের কথা ভাবলেই এখন বাড়ির কথা মনে পড়ে। বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথায়। সেই যে বাড়ির পুবের জানলা দিয়ে সকালের রোদ্দুর সাত টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে আমার ক্রোম ইয়েলো রঙা দেওয়ালে। শীত ভোরে চারদিক ফাঁকা হয়ে ঘরে কুয়াশা ঢুকে পড়ছে ঘুলঘুলির জাফরি দিয়ে......
সুধী পাঠক, আগামী বছর উদ্ভাসিত থাকুন, ফুল্ল কুসুমিত থাকুন। প্রতিবেশীকে ভাল না বাসতে পারেন, বিশ্বাস করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy