পুলিশ, সিআরপিএফ এবং এসএসবি জওয়ানদের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ল এনডিএফবি (সংবিজিত) গোষ্ঠির ৯ জঙ্গি-সহ মোট ১২ জন। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। অসমের চিরাং জেলার বিজনি থানার মানস জাতীয় উদ্যান এলাকার পানবাড়ি, আমগুড়ি গ্রাম-সহ ৫টি গ্রামে ৮ জানুয়ারি থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৮৪ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়। অসম পুলিশের আইজি এলআর বিষ্ণুই জানান, মানস জাতীয় উদ্যান এলাকা থেকে অস্ত্র-সহ ১২ জন জঙ্গিকে ধরা হয়। ওই গোষ্ঠীর সঙ্গে আর কোনও আলোচনা করা হবে না। অভিযান চলবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা সকলেই অসমের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। সংগঠনের বিভিন্ন ব্যাটেলিয়নের দায়িত্ব ছাড়াও ধৃতদের কয়েকজন অর্থসচিব, স্বঘোষিত কমান্ডারও রয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে চারটি একে ৫৬ রাইফেল, একটি .৩০৩ রাইফেল, একটি .৩১৫ রাইফেল, চারটি ৯এমএম পিস্তল, একটি ৭.৬৫ পিস্তল, চারটি গ্রেনেড, ১২টি ম্যাগাজিন, ৭৮৪ রাউন্ড কার্তুজ এবং প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বড়ো ভূমির কোকরাঝাড় এবং শোনিতপুর জেলায় এনডিএফবি (সংবিজিত) গোষ্ঠীর জঙ্গি হামলায় শিশু এবং মহিলা-সহ ৮১ জন মারা যান। গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ওই দুই জেলায় শুরু হয় সেনা এবং যৌথ বাহিনীর অভিযান। এই নিয়ে গত শুক্রবার সকাল থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত এনডিএফবি (সংবিজিত) গোষ্ঠীর ২১ জন কট্টর জঙ্গি ধরা পড়ল। গত শনিবারই কোকরাঝাড়ের সেরফাংগুরি থানার ভারত-ভুটান সীমানার খৌসিবাজার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে পুলিশের ও এসএসবি জওয়ানদের সঙ্গে সর্ংঘষে মারা যান জগৎ বসুমাতারি ওরফে বি জবলাং (২৫) নামে সংগঠনের এক স্বঘোষিত প্লাটুন কমান্ডার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy