আমরা সবাই জানি ভগবান খুব অল্পেতেই সন্তুষ্ট। ভক্তরা নিজের যথা সাধ্য ভগবানের কাছে নিবেদন করেন এবং ভগবান তাতেই সন্তুষ্ট হন। ভগবানের পুজো করার পর তাকে ভোগ দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এবং কথিত আছে, ভগবান সেই ভোগ সানন্দে গ্রহণ করেন। তবে ভোগ দেওয়ারও বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা সঠিক ভাবে মানতে না পারলে ভগবান অসন্তুষ্ট হন। শাস্ত্রেও ভোগ নিবেদন করার বিশেষ কিছু নিয়ম বলা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
দেখে নেব ভোগ নিবেদন করার সঠিক কয়েকটি নিয়ম
১) ভোগ তৈরি করার সময়ে অবশ্যই একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, ভোগে কোনও প্রকার তেল ব্যবহার করা যাবে না। ঈশ্বরের ভোগ সব সময়ে ঘি দিয়ে তৈরি করতে হবে।
২) ঠাকুরের ভোগের অংশ কখনও আগে সরিয়ে রাখতে নেই, অনেকেই ভোগ থেকে কিছুটা সরিয়ে রেখে তার পর ভগবানের সামনে দেয়। কিন্তু এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। ভোগ যতটা তৈরি করা হবে, সবটাই ঠাকুরের সামনে দিতে হবে। সেই বুঝে ভোগ তৈরি করতে হবে।
৩) ভোগের রান্নায় কখনও লঙ্কা ব্যবহার করতে নেই। ভোগের রান্না করতে হবে সব সময়ে ঝাল ছাড়া। ঝাল দেওয়া ভোগ ঈশ্বরের সামনে নিবেদন করা যাবে না।
আরও পড়ুন:
৪) ভোগ ঠাকুরের সামনে দেওয়ার পর কিছু ক্ষণ অবশ্যই ঘর একটু ফাঁকা করে দিয়ে, সকলে বাইরে চলে যেতে হয়। তার পর ভোগ প্রনাম করে ঠাকুরের সামনে থেকে সরিয়ে নিতে হয়।
৫) কোন দেবতার ভোগে তুলসী দেওয়া যায় এবং কোন দেবতার ভোগে তুলসী দেওয়া যায় না, ভাল করে জেনে তবেই ভোগ নিবেদন করুন।
৬) ভোগ প্রসাদ হিসাবে কখনও নিজে প্রথমে গ্রহণ করবেন না। ভোগের প্রথম অংশ প্রথমে গরু বা কোনও পাখিকে খাওয়ান। তার পর নিজে গ্রহণ করুন।