শব্দের মাধ্যমে আমরা মনের ভাব প্রকাশ করি। আর শব্দই হল পরম ব্রহ্ম। কিন্তু আমরা কখনও ভেবে দেখেছি, আমরা মুখ দিয়ে যে শব্দ করি, তার অন্তর্নিহিত মানেটা কি? এবং আমরা যেটা বলছি, তা কি সত্যি বলতে চাইছিলাম? আমরা মনের কথা সব সময় বাইরে প্রকাশ করতে পারি না। এই সমস্যা জর্জরিত যুগে আমরা নিজেদের সংশোধন করতে ভুলে যাই অথবা পারি না। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত যে, তিনি যেটা বলতে চাইছেন, সেটা যেন তার মনের গুঢ় কথা হয়। কারণ, আমাদের অন্তর মন ভগবানের মনের সঙ্গে যুক্ত থাকে। তাই কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে আমরা যা ব্যক্ত করি তা অবশ্যই ফলিত হয়।
কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব বিচার একটি আধ্যাত্মিক বিষয়। এবং এই বিষয়টি সমুদ্রসম বিশাল। কারণ, এটা এক ধরনের অনুভূতি যেটা ধ্যানক্রিয়া এবং বিভিন্ন ধরনের প্রাণক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ উপলব্ধি করতে পারে। তাই আমরা একটু চেষ্টা করলেই এই কাজটিতে সফল হতে পারি। তবে এর জন্য প্রয়োজন নিজের মধ্যে সংযত ভাব।
আরও পড়ুন:
কণ্ঠস্বর প্রতিটি মানুষের মনের গভীরতার দ্বারা পরিচালিত হয়। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন কণ্ঠস্বর থাকে। আর এই কণ্ঠস্বর তার মনের ভাবনার দ্বারা পরিচালিত হয়।
সব শেষে এটাই বলব যে, মানুষের কণ্ঠস্বর দ্বারা শুধু তার ব্যক্তিত্ব নয়, তার জীবনের সমস্ত ঘটনা অর্থাৎ তার সুখ, দুঃখ, শান্তি ও অশান্তি ইত্যাদি সব কিছু ব্যক্ত করা যায়। মানুষের কণ্ঠস্বর তার মনময় কোষের সঙ্গে যুক্ত থাকে যেটাকে আমরা বলি অন্তর-মন। এবং এই অন্তরমন যুক্ত থাকে জ্ঞানময় শরীরের সঙ্গে, যেখানে মানুষের সঞ্চিত কর্ম বিদ্যমান রয়েছে। অর্থাৎ মানুষের মন যার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।