২ ফেব্রুয়ারি বিনায়ক চতুর্থী অর্থাৎ গণেশ পুজো। সিদ্ধিদাতা গণেশ হলেন অগ্রপূজ্য দেবতা, এটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু গণেশের কাছে করা আমাদের যে কোনও মনস্কামনা খুব দ্রুত সফল হয়, সেটা জানেন কি? জ্যোতিষীদের মতে এমন কিছু টোটকা রয়েছে যা গণেশ চতুর্থীর দিন করতে পারলে জীবনে এতটা সমৃদ্ধি আসবে, যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
টোটকাগুলো জেনে নিন:
১) গণেশের মূর্তি ঘরের উত্তর দিকে অথবা পূর্ব দিকে স্থাপন করবেন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, গণেশের পিছন দিক অর্থাৎ তাঁর পিঠের দিকে যেন কোনও শোয়ার ঘর বা লকার না থাকে। কারণ, গণেশের পিঠে দারিদ্র বাস করে, তাই এমন ভাবে গণেশের মূর্তি স্থাপন করুন, যেন তাঁর পিছন দিকে কোনও দেওয়াল থাকে।
২) পুজোর সময় ২১টা দূর্বা একটা লাল সুতো দিয়ে বেঁধে তাতে সিঁদুর লাগিয়ে গণেশের সামনে রাখুন। দূর্বাগুলো এমন ভাবে রাখুন যাতে তার শিগুলো আপনার দিকে থাকে।
৩) গণেশকে বোঁদের লাড্ডু অবশ্যই দিন। যে লাড্ডুর ভিতরে লাল রঙের বোঁদে থাকে সেই লাড্ডুর ভোগ দিন।
৪) যদি জীবনে খুবই আর্থিক সমস্যা থাকে, তা হলে পুজোর সময় গণেশের সামনে ঘি এবং গুড়ের ভোগ দিন। পুজো শেষে সেই ঘি এবং গুড় গরুকে খাইয়ে দিন।
৫) বিয়ে করতে চাইছেন কিন্তু একের পর এক বাধা এসেই চলেছে? তা হলে বিনায়ক চতুর্থীর দিন উপবাস রেখে গণেশকে মালপোয়ার ভোগ নিবেদন করে পুজো দিন।
৬) গণেশ পুজোর দিন ভুল করেও কয়েকটি খাবার খাওয়া যাবে না। খাবারগুলি হল- মুলো, উচ্ছে, করলা, নিমপাতা অর্থাৎ তেতো যে কোনও খাবার, পটল, বেল, পান, সুপারি, পোড়া খাবার এবং আমিষ জাতীয় খাবার।
আরও পড়ুন:
৭) বিনায়ক চতুর্থীতে গণেশকে সাদা ফুল এবং বস্ত্র নিবেদন করবেন না। এই দিন গণেশকে লাল বস্ত্র পরান এবং নিজেও লাল বস্ত্র পরুন।
৮) গণেশ পুজোয় গণেশকে লাল গোলাপ নিবেদন করবেন। এ ছাড়া গণেশকে লাল ফুলের মালা বা একটা পান পাতার মালা অর্পণ করুন।
৯) সমৃদ্ধি দ্বিগুণ করতে গণেশ পুজোর দিন বাড়িতে শঙ্খ, নারকেল, কুবেরের মূর্তি প্রভৃতি আনতে পারেন।
১০) আর্থিক উন্নতি করতে গনেশ পুজোর দিন একটা সবুজ কাপড়ের উপরে ১১ টা সুপারি, কিছুটা আতপ চাল এবং গাঁট হলুদ একসঙ্গে বেঁধে গণেশের চরণে নিবেদন করুন। পুজো শেষে পুঁটলিটা ব্যবসার জায়গায় বা বাড়ির লকারে রেখে দিন।