বিভিন্ন দেবদেবীর পুজোয় নিবেদিত ফুলের কিছু নিয়ম আছে কি? আছে বই কি।
স্নান করে ওঠার পর গাছ থেকে ফুল তুলে দেবতার পুজো করতে নেই। সে ফুল দেবদেবীরা গ্রহণ করেন না। এ ভাবে পুজোয় কোনও ফল পাওয়া যায় না। স্নানের আগে শুদ্ধবস্ত্রে ফুল তুলতে হয়। ফুল ধুয়ে পুজোয় দিতে নেই। ধোয়া ফুল দেবতারা গ্রহণ করেন না। পড়ে থাকা বস্ত্রে ফুল রাখতে নেই। রাখলেও তা পুজোয় দিতে নেই।
বর্তমানে অনেকেই বাজার থেকে কেনা ফুল দিয়ে দেবদেবীর পূজা করে থাকেন। এখন প্রশ্ন হল, বাজার থেকে কেনা বাসি ফুল, আবার অনেক সময় আজ ফুল তুলে রেখে কাল যদি সেই ফুলে পুজো করা হয়, তাতে কি কোনও অপরাধ হয়?
আরও পড়ুন: সংসারে দাম্পত্য সুখ বজায় রাখতে চাইলে এই ফুল গাছগুলি অবশ্যই বাড়িতে লাগান
অপরাধ আর কি! তবে মলিন বা ছেঁড়া, মাটিতে পড়ে চেপ্টে যাওয়া, গন্ধ শোঁকা হয়েছে এমন ফুল পুজোয় দিতে নেই। এগুলোকে অশুদ্ধ ফুল বলে। শিউলি ফুল মাটিতে পড়লে তা অশুদ্ধ হয় না। তবে ধুয়ে পুজোয় দিলে সে ফুল দেবতারা গ্রহণ করেন না। শ্মশানে নানান গাছের ফুল যত সুন্দরই হোক তা পুজোয় একেবারেই নিষিদ্ধ। বিষ্ণুপুজোয় ফুলের কুঁড়ি দিতে নেই।
চাঁপা, পদ্ম, মালতি ফুল, বেল ফুল, তুলসী আর দূর্বা কখনও বাসি হয় না। এর প্রথম তিনটে ফুল দিয়ে একবার পুজো দেওয়ার পর ওই ফুল পর দিন জল দিয়ে ধুয়ে আবার দেবতার পায়ে অর্পণ করা যায়। তাতে কোনও দোষ হয় না।
পোকা খাওয়া কিংবা বাসি ফুল দিয়ে পুজো করতে নেই। যিনি পুজো করেন, তাঁকে দেবতারা অভিশাপ দেন দেবতারা অভিশাপ দেন। উগ্র গন্ধ অথবা একেবারেই গন্ধ নেই এরকম ফুল ও জবা দিয়ে নারায়ণের পুজো করতে নেই। সুগন্ধি যে কোনও ফুল ও জবা দিতে হয় শক্তিপুজোয়। ভোরবেলায়, সন্ধ্যায়, অমাবস্যা, পূর্ণিমা আর দ্বাদশী তিথিতে তুলসী পাতা ছিঁড়তে নেই গাছ থেকে। এটা করলে নারায়ণের অঙ্গে আঘাত করা হয়। ওই সময় ও দিনগুলিতে গাছ থেকে বেল পাতাও ছিঁড়তে নেই। বেল পাতার তিনটে ফলক না থাকলেও অসুবিধে নেই, শিবপুজোয় দেওয়া যাবে। আর একটি কথা মনে রাখবেন, সব সময় নিখুঁত ফল দিতে হয় পুজোয়। দিলে দ্রুত কার্যসিদ্ধি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy