Advertisement
২৭ অক্টোবর ২০২৪
Bhoot Chaturdashi 2024

ভূত চতুর্দশীর তাৎপর্য কী? এই দিন চোদ্দ প্রদীপ কেন জ্বালানো হয়?

অনেকে মনে করেন পূর্বপুরুষের আত্মা ভূত চতুর্দশী তিথিতে মর্ত্যলোকে আসেন। সেই কারণেই কি চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানো হয়?

Date, timing and significance of Bhoot Chaturdashi

—প্রতীকী ছবি।

সুপ্রিয় মিত্র
শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:০১
Share: Save:

ভূত চতুর্দশী তিথি সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। কেউ বলেন দেবী কালী চামুণ্ডা রূপে ভূত এবং প্রেতাত্মা সঙ্গে নিয়ে ভক্তের বাড়িতে আসেন অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে। কারওর মতে এই তিথিতে দৈত্যরাজ বলি পৃথিবীতে পূজা নিতে আসেন, সঙ্গে আসে নানা অশুভ শক্তি, অর্থাৎ ভূত এবং প্রেতাত্মা। অনেকে আবার মনে করেন পূর্বপুরুষের আত্মা এই তিথিতে মর্ত্যলোকে আসেন। তবে সব ক্ষেত্রেই অশুভ শক্তির আগমনের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই অশুভ শক্তির থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যেই জ্বালানো হয় চোদ্দ প্রদীপ। বিশ্বাস করা হয় এই চোদ্দ প্রদীপের আলো সংসারে সকল প্রকার অশুভ শক্তির অবসান ঘটায়। এই তিথিতে চোদ্দ প্রকার শাক খাওয়ার চল রয়েছে। সেগুলি হল— ওল, কেউ, বেতো, কালকাসুন্দে, নিমপাতা, জয়ন্তী, সরিষা, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, পলতা, শুলফা, গুলঞ্চ, ঘেঁটু, শুশুনি (পণ্ডিত রঘুনন্দনের মতে)। যদিও স্থানবিশেষে শাকের নাম পরিবর্তিত হতে পারে। অশুভ শক্তি বিনাশের উদ্দেশ্যে স্নান করে এই চোদ্দশাক খেয়ে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোই হল ভূত চতুর্দশীর রীতি।

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে—

চতুর্দশী শুরু:

বাংলা: ১৩ কার্তিক, বুধবার।

ইংরেজি: ৩০ অক্টোবর, বুধবার।

সময়: দুপুর ১টা ১৭ মিনিট।

চতুর্দশী শেষ:

বাংলা: ১৪ কার্তিক, বৃহস্পতিবার।

ইংরেজি: ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার।

সময়: দুপুর ৩টে ৫৩ মিনিট।

ভূত চতুর্দশী, শ্রীশ্রী ধর্মরাজ পূজা।

গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে—

চতুর্দশী শুরু:

বাংলা: ১৩ কার্তিক, বুধবার।

ইংরেজি– ৩০ অক্টোবর, বুধবার।

সময়: দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড।

চতুর্দশী শেষ:

বাংলা: ১৪ কার্তিক, বৃহস্পতিবার।

ইংরেজি: ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার।

সময়: দুপুর ৩টে ৭ মিনিট ৪২ সেকেন্ড।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE