—প্রতীকী ছবি।
মাঙ্গলিক শব্দটা কখনও মনকে খুশি প্রদান করে, কখনও আবার তা সমস্যা বা আতঙ্কের কারণ হয়। যেমন, বাড়িতে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের খবরে মনটা খুশিতে ভরে উঠলেও জন্মপত্রিকায় মাঙ্গলিক দোষ শুনলে মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মাঙ্গলিক দোষ ঠিক কী? জন্মছকের প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম এবং দ্বাদশ স্থানে মঙ্গলের অবস্থান হলে চলতি কথায় মাঙ্গলিক দোষ যুক্ত জন্মপত্রিকা বলা হয়ে থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে মঙ্গলকে অশুভ গ্রহ বলে মানা হয়। জন্মছকে মঙ্গলের শুভ অবস্থান ভাল ফল দান করলেও অশুভ অবস্থানের কারণে জাতক-জাতিকার ননা প্রকার ভোগান্তি হয়। উগ্রতা, সাহসিকতা, রাগ, দুর্ঘটনা, রক্তপাত ইত্যাদির সঙ্গে মঙ্গলের সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ, মঙ্গলের অশুভ অবস্থানের ফলে নির্দিষ্ট ব্যক্তির জীবনে অশুভ প্রভাবের আশঙ্কা দেখা যায়।
তবে জন্মপত্রিকায় মঙ্গল দোষযুক্ত বা মাঙ্গলিক হলেই যে সব ক্ষেত্রে তা অশুভ ফল দান করবে সেটা নাও হতে পারে। কখনও কখনও জন্মপত্রিকায় মাঙ্গলিক দোষ থাকলেও বিভিন্ন কারণে তা অশুভ ফল দান করে না।
কখন মাঙ্গলিক দোষ অশুভ ফল দান করে না—
মঙ্গলের সঙ্গে শুভ গ্রহের সহাবস্থান মাঙ্গলিক দোষ নষ্ট বা হ্রাস করতে পারে।
শুভ গ্রহের সঙ্গে মঙ্গলের স্থান পরিবর্তন মাঙ্গলিক দোষ নষ্ট বা হ্রাস করতে পারে।
মঙ্গলের উপর বৃহস্পতির দৃষ্টি মাঙ্গলিক দোষ নষ্ট বা হ্রাস করতে পারে।
নবাংশে মঙ্গলের শুভ অবস্থান মাঙ্গলিক দোষ নষ্ট বা হ্রাস করতে পারে।
মঙ্গলের নীচস্থ অবস্থান মাঙ্গলিক দোষ নষ্ট বা হ্রাস করতে পারে।
মঙ্গল অস্তমিত হলে মাঙ্গলিক দোষ নষ্ট বা হ্রাস করতে পারে।
সাধারণত ৩০ বছর বয়সের পর মাঙ্গলিক দোষ স্বাভাবিক ভাবেই হ্রাস প্রাপ্ত হয়।
মাঙ্গলিক কতটা শুভ বা অশুভ প্রভাব দান করবে তা জাতকের রাশি বা লগ্ন, অন্যান্য গ্রহের অবস্থান ইত্যাদির উপর বিশেষ ভাবে নির্ভর করে।
প্রতিকার– হনুমান চালিশা পাঠ করলে মাঙ্গলিক দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হনুমানজির পূজা করুন এবং প্রসাদ বিতরণ করুন। গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন। দুর্গার পূজা করুন। বাঁদর, হনুমানকে খাবার দান করুন, প্রাণায়ম করুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy