শ্রাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন তিথি অনুযায়ী বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণে নিষেধ আছে। যেমন- অষ্টমী, চতুর্দশী, পূর্ণিমা, অমাবস্যা ও সংক্রান্তিতে মাছ, মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। ভাদ্র মাসে লাউ, মাঘ মাসে মুলো ও চৈত্র মাসে শিম খাওয়া নিষিদ্ধ। এ ছাড়াও বিভিন্ন তিথিতে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে নিষেধ আছে। আসলে ভিন্ন ভিন্ন তিথিতে চন্দ্রের আকর্ষণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রসের তারতম্য ঘটে। সেই রসের সঙ্গে যে যে খাবারের রস মিশলে শরীরের অনিষ্ট হতে পারে, সেই সকল খাবারই এই সকল তিথিতে নিষিদ্ধ। বিভিন্ন তিথিতে শরীরের এই তারতম্য বুঝতে না পারলেও অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে তা বেশ বুঝতে পারা যায়। শরীরে কাটাছেড়া, ব্যথা বা অন্য যে কোনও অসুখ থাকলে তা বেশ বুঝতে পারা যায়। এর মধ্যেও আমাদের সুস্থ থাকতে হবে।
এখন জেনে নেওয়া সারা বছর সুস্থ থাকতে চৈত্র সংক্রান্তিতে কী কী খাদ্যদ্রব্য সুফলদায়ী হতে পারে:
চৈত্র সংক্রান্তিতে তেতো খেতে হয়। তা হলে সারা বছর সুস্থ থাকবেন। এমনই বিশ্বাস অনেকের।
অনেক হিন্দু নারী এ দিন ব্রত পালন করেন। এ সময় আমিষ নিষিদ্ধ থাকে। খাবারের তালিকায় থাকে শাকসবজি-সহ সাত রকমের তেতো খাবার।
আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখের নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি
চৈত্র সংক্রান্তির কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার:
১। নিম পাতা– নিমপাতা ও চাল ভেজে এক সঙ্গে খাওয়া চৈত্র সংক্রান্তির পুরনো ধারা। অনেকের ধারণা, এই খাবার খেলে সারা বছর সুস্থ থাকা সম্ভব।
২। সজনে চচ্চড়ি– চৈত্র সংক্রান্তিতে অনেক বাড়িতে সজনে চচ্চড়ি রান্না হয়। তা দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
৩। নিরামিষ তরকারি– ব্রত পালন করা নারীরা বিভিন্ন নিরামিষ তরকারি রান্না করেন। বিভিন্ন শাক দিয়ে এই রান্না করা হয়।
৪। কাঁঠালের তরকারি- চৈত্র সংক্রান্তির আরেকটি উল্লেখোগ্য খাবার কাঁঠালের তরকারি। কাঁচা কাঁঠালের নানা অংশ দিয়ে এই তরকারি রান্না করা হয়।
৫। গিমা শাক- গ্রামের গৃহিণীরা এ দিন গিমা শাক ও বেগুন দিয়ে তরকারি রান্না করেন। এ সব তরকারি খেতে দেওয়া হয় ব্রত পালনকারি নারীদের।
আর
৬। তেতো ডাল- চৈত্র সংক্রান্তির অন্যতম খাবার তেতো ডাল। এটিই এই উৎসবের সবচেয়ে বেশি প্রচলিত খাবার।
৭। নারকেল নাডু- এ দিন অনেক বাড়িতে নারকেলের নাডু বানানো হয়। অতিথি আপ্যায়নে চৈত্র সংক্রান্তির অন্যতম অনুসঙ্গ এই খাবার। চৈত্র সংক্রান্তিতে নকশী পিঠাও বানানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy