করতলে কখনও কখনও মূলরেখা, যেমন আয়ুরেখা, শিরোরেখা, হৃদয়রেখা, ভাগ্যরেখা, বিবাহরেখা, বুধরেখা— একটির বদলে দু’টি করে থাকার তাৎপর্য কী? দু’টি করে যে কোনও রেখা বাঁ হাতে বা ডান হাতে বা উভয় হাতেই থাকতে পারে। এই ডাবল রেখা ভাল বা খারাপ দুই-ই করতে পারে। এখানে সে বিষয়ে আলোচনা করা হল:
করতলে আয়ুরেখা দু’টি থাকার ফল
১) ডাবল আয়ুরেখা মানে খুব ভাগ্যবান তা বলা যাবে না। দু’টি আয়ুরেখা ডান বা বাম যে হাতেই থাকুক না কেন, বা দু’হাতেও যদি থাকে এতে বোঝায় জাতক/জাতিকা বাড়ি বা পরিবার থেকে অনেক বেশি সহযোগিতা বা সাহায্য পেয়ে থাকে। যাদের একটি করে আয়ুরেখা আছে তাদের থেকে এই সাহায্য বেশি।
২) ভবিষ্যৎ কী হবে এ নিয়ে মোটেই ভাবে না, এরা হুট করে এক চাকরি ছেড়ে আর এক চাকরি ধরতে পারে আবার না-ও পারে। যে কোনও ঝুঁকির কাজ বা জীবনে ঝুঁকি নিতে যখন তখনই পারে, সে জানে আমাকে রক্ষা করার জন্য আমার পিছনে আমার পরিবার আছে। এদেরকে ‘রিস্ক লাভার’ বলা যেতে পারে।
৩) সারা জীবন এদের প্রবল আত্মবিশ্বাসে কখনও চিড় ধরে না। অবশ্যই এই আত্মবিশ্বাসের উৎস এদের পরিবারের সাহায্য।
৪) ডাবল আয়ুরেখা থাকার ফলে এদের ব্যবহারে জটিলতা লক্ষ্য করা যায়। যে কোনও ডাবল রেখা মানে একটা গুপ্ত জীবন, যা লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকে।
আরও পড়ুন: সকালে ঘুম থেকে উঠে হাতের তালুর দিকে তাকালে কী হয় জানেন?
৫) মেয়েদের হাতে ডাবল আয়ুরেখা মানে ধনী বা সম্পদশালী ঘরে বিবাহযোগ বোঝায়।
৬) এদের প্রাণশক্তি প্রচুর থাকে।
৭) এদের জীবনে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে এবং সেই পরিবর্তনকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই নেয় এরা।
৮) আয়ুরেখায় যদি ব্রেক থাকে আর সেই রেখা ভেদ করে যদি আর একটি আয়ুরেখা যায়, তা হলে এই ভেদরেখার বয়সে বিদেশ যাওয়ার যোগ রয়েছে।
৯) দু’টি আয়ুরেখার মধ্যে মূল আয়ুরেখা যেখানে, তার ভিতর দিয়ে অন্য আয়ুরেখাটি যদি যায় মানে বুড়ো আঙুলের দিকে, তা হলে পরিবারের দিক থেকে আত্মবিশ্বাস বা শক্তিলাভ বোঝায়।
১০) আর মূল আয়ুরেখার বাইরে দিয়ে অন্য আয়ুরেখাটি যদি ভাগ্যরেখার দিক দিয়ে যায়, তা হলে বাইরের জগৎ থেকে সহায়তা পাওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস যোগায়।
করতলে দুটি শিরোরেখা থাকার তাৎপর্য
১) যার হাতে দুটি শিরোরেখা আছে সে কমবেশি দু’টি ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ক্ষেত্র বিশেষে তার দুটি চরিত্র। কেউ আবার একইসঙ্গে দুটি বা তিনটি বিরল গুণের অধিকারী। এদের একটি চরিত্র প্যাসিভ আর একটি অ্যাক্টিভ।
২) দুটি শিরোরেখা যদি সমান মাপে যে কোনও এক হাতে থাকে বা কারও আবার দু’হাতেই থাকে (যেটা খুব কম সংখ্যক মানুষেরই থাকে), এরা একটি শিরোরেখা বিশিষ্ট মানুষের থেকে বেশি বুদ্ধি বা মানসিক শক্তিধর। এদের অনুভব এবং কল্পনাশক্তি অত্যন্ত বেশি।
৩) যাদের জোড়া শিরোরেখা থাকে তাদের মস্তিষ্ক অত্যধিক মাত্রায় পরিণত। এরা একইসঙ্গে দুটি বা তার বেশি ভাবনা একই সময়ে ভাবতে পারে। এদের ইন্টিউশন বা বোধশক্তিও বেশি।
৪) অনেক ক্ষেত্রে জোড়া শিরোরেখার কারণে এদের অন্য যে জীবন আড়ালে থাকে, সেই গোপন জীবন ভাল বা মন্দ দুই-ই হতে পারে। দুটো বিপরীত গুণের সমাবেশও দেখা যায়।
৫) এরা একইসঙ্গে বহু বিষয়ে পন্ডিত বা স্কলার হয়ে থাকে। অনেকে পেশাগত জীবনে একইসঙ্গে বহু বিষয়ে পন্ডিত বা এক্সপার্ট হয়ে দক্ষ ভাবে কর্মক্ষেত্রকে পরিচালিত করে থাকে।
৬) এদের মধ্যে কেউ কেউ আছে, যাদের দুটো জীবন থাকে, একটা স্বাভাবিক জীবন যেটা সবাই জানে। আর যেটা লোকচক্ষুর অন্তরালে, সেই জীবনে এরা নানা রকম পাপকাজে রত থাকে। কিরো তাঁর বইয়ে এই রকম জোড়া শিরোরেখার বিপরীতধর্মী জীবন তার কেস ডায়েরিতে দেখিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy