সারা পৃথিবীতে ফেঙশুই প্রচার হওয়ার পর অন লাইনে এই সংক্রান্ত একটি জিনিসের বিক্রি সব চেয়ে বেড়েছে। একটি বিশেষ প্রজাতির দু’রকমের বাঁশগাছ। যা এক বছরে কয়েক হাজার কোটি ডলারের ব্যবসা করছে। এই গাছের বটানিক্যাল নাম Dracaena sanderiana এবং Dracaena braunii
এই বিশেষ বাঁশগাছ আমাদের কলকাতাতেও ফেঙশুই আইটেম হিসেবে বিক্রি হয়।
এই বিশেষ প্রজাতির বাঁশগাছ কেন শুভ? তার কারণ, বাঁশগাছের ভিতরটা ফাঁপা থাকে। আর এই ফাঁপা জায়গায় ফেঙশুই মতে থাকে প্রচুর পজিটিভ এনার্জি। অর্থাৎ ‘Chi(Qi)’তে ভর্তি থাকে। এটা আমাদের ভাগ্য, অর্থ বৃদ্ধিতে এবং জ্ঞান বা প্রজ্ঞা বৃদ্ধিতে প্রচুর সাহায্য করে।
এই বিশেষ প্রজাতির বাঁশগাছ লাকি কেন? তার কারণ, ফেঙশুই মতে যে পাঁচটি তত্ত্ব আছে তা যে বস্তু পূরণ করে তাকেই লাকি বা শুভ বলা হয়। সেই পাঁচটি তত্ত্ব—কাষ্ঠ, জল, মৃত্তিকা, অগ্নি ও ধাতু। এই বাঁশগাছ সেই পাঁচটি তত্ত্ব ফেঙশুই মতে কী ভাবে পূরণ করে?
(১) প্রথম তত্ত্ব কাষ্ঠ: বাঁশগাছ নিজেই কাঠ বা কাষ্ঠের প্রতীক।
(২) দ্বিতীয় তত্ত্ব জল: এই বাঁশগাছকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ঘরের মধ্যে একটি পাত্রে রেখে তাতে জল দিতে হয়। তা হলে জলতত্ত্ব প্রমাণিত হল।
(৩) তৃতীয় তত্ত্ব মৃত্তিকা: এই বাঁশগাছটি যে পাত্রে রাখা হয় তার গোঁড়াতে মাটি, বালি, নুড়ি ইত্যাদি দিতে হয়। যার জন্য গাছটি বেঁচে থাকে। মাটি থাকার কারণে মৃত্তিকা তত্ত্ব পূরণ হল।
আরও পড়ুন: জন্ম তথ্য জানা নেই? কর্মক্ষেত্রে সমস্যা? সামাধান মিলবে এই টোটকায় (প্রথম পর্ব)
(৪) চতুর্থ তত্ত্ব অগ্নি: বাঁশগাছটি যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রটিতে লাল ফিতে দিয়ে ভাল করে বেঁধে ঘরে রাখার কথা। লাল মানে অগ্নি বা ফায়ার। এর ফলে অগ্নি তত্ত্ব প্রমাণিত হল।
(৫) পঞ্চম তত্ত্ব ধাতু: বাঁশগাছটি যখন ঘরের মধ্যে রাখা তখন দু’একটি চিনা কয়েন বা মুদ্রা বেঁধে দিতে হয়, যাতে ধাতু তত্ত্ব প্রমাণিত হয়।
এ ভাবে তাজা বাঁশগাছকে ঘরের মধ্যে হয় পূর্ব দিকে রাখতে হবে, নতুবা দক্ষিণ পূর্ব কোণে (অগ্নি কোণ) ।
পূর্ব দিকে রাখলে স্বাস্থ্যের সমৃদ্ধি হবে। আর অগ্নিকোণে রাখলে অর্থ ও সমৃদ্ধি হতেই থাকবে।(ক্রমশ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy