শনিবার পয়লা বৈশাখ। বছরের প্রথম দিনটি শনিবার পড়েছে বলে ভাবার কিছু নেই। শাস্ত্রমতে বছরের প্রথম দিনটা যে কোনও কাজের জন্যই শুভ। নতুন কিছু শুরু করতে হলে এই দিনটা বাছা যায়। আবার পরে করবেন এমন কাজের পরিকল্পনা করার জন্যও এই দিনটাকে শুভ মনে করা হয়।
মানুষের সবচেয়ে বেশি চিন্তা থাকে অর্থাগম নিয়ে। তাই অনেকেই বছরের প্রথম দিনটা মা লক্ষ্মীকে খুশি করতে চান। সঙ্গে সিদ্ধিদাতা গণেশেরও পুজো করেন। একসঙ্গে লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো শুভ যোগ এনে দেয় অর্থভাগ্যে। এখানে পাঁচটি কাজের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে যে কোনও একটি করলেই শুভ ফল মিলতে পারে। বাড়িতে পুজো না হলেও এই কাজগুলি করতেই পারেন।
১। বছরের প্রথম দিন পাঁচটি কড়ি বাড়িতে লক্ষ্মীর ঘটের উপরে রেখে দিন। প্রতি বৃহস্পতিবার সেই কড়ি-সহ দেবী লক্ষ্মীর পুজো করুন, এতে দেবী প্রসন্ন হবেন। সংসারে শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে এবং আর্থিক অনটন থেকেও মুক্তি মিলবে।
২। পয়লা বৈশাখের দিন ঘরে গণেশের মূর্তি স্থাপন করলেও অর্থের দিকে খুব ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে। পুজোর ফুল বাড়িতে টাকা ও গয়না রাখার জায়গায় রেখে দিন। নিয়মিত গণেশের পুজো করবেন। একসঙ্গে লক্ষ্মী গণেশের পুজোও করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
৩। সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, গোরুর সঙ্গে সব দেবতা বিরাজ করেন৷ তাই বাংলার বছরের প্রথম দিনটিতে গরুকে খাওয়ানো শুভ মনে করা হয়। কিছু খাবার এমন জায়গায় রেখে দিন রাস্তায় থাকা গরু যাতে খেতে পারে। যে কোনও পথের পশুকে বছর শুরুর দিনে খাওয়ানো শুভ ফল দেয়।
৪। ব্যবসায়ীরা অনেকেই বছরের প্রথম দিন হালখাতার রীতি পালন করেন৷ নতুন খাতায় লাল কালি দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয়। তার নীচে তিনটি বা পাঁচটি কয়েনের ছাপ দিয়ে লাল কালিতে ‘গণপতায় নমঃ’ লিখে দেওয়া হয়। এই কাজটা বাড়িতেও করতে পারেন। সংসার খরচের হিসাব রাখার খাতায় একই নিয়ম পালন করুন। সম্ভব হলে একটু সিদ্ধি রাখুন খাতায়। অবশ্যই চন্দন এবং হলুদের ফোঁটা দিন৷
৫। একটি পাত্রে তেল, হলুদ এবং সিঁদুর মিশিয়ে নিন। আমপাতায় সেই মিশ্রণের ফোঁটা দিতে হবে। তার পর সাতটি আমপাতা একটি লাল সুতো দিয়ে বেঁধে দরজার উপরে টাঙিয়ে ফেলতে হবে। শেষে দরজায় ধূপ দেখিয়ে একটি কোণে পুঁতে দিতে হবে। সেটা বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে রাখলে বেশি ভাল। বাড়ির বাস্তুদোষ থাকলেও তা কেটে যায়।
যাই করুন না কেন, সকাল সকাল স্নান সেরে শুদ্ধ পোশাক পরে নিতে হবে।