—ফাইল চিত্র।
সসপ্যানে হালকা মাখন। দু’টো ডিম ফাটিয়ে তার উপর হালকা হাতে ঢেলে দিলেন। চড়বড়িয়ে শব্দ হল। তার উপরে ‘সল্ট বে’-র (ইন্টারনেটের জনপ্রিয় চরিত্র। যিনি মাংসের স্টেকের উপর নুন ছড়ান বিশেষ কায়দায়) কায়দায় হাতটাকে সারসের গলার ভঙ্গি করে নুন ছড়িয়ে নিলেই দু’ মিনিটে রেডি ‘ডবল সানি সাইড আপ’। অফিসে বা কলেজে বেরনোর আগে ব্যাচেলরদের আদর্শ প্রাতরাশ। অল্প সময়ে তৈরি স্বাদু খাবার। কিন্তু জানেন কি ‘অল্প সময়ে এবং সহজে ভাল খাওয়ার’ বানাতে গিয়ে নিজেকে বার্ধক্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে দিচ্ছেন!
স্বাস্থ্যবিদদের বক্তব্য
স্বাস্থ্যবিদদের একাংশের বক্তব্য, যে সমস্ত খাবার উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হয়, তাতে থাকে অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন এন্ড প্রোডাক্টস। যাকে ছোট করে বলা হয় ‘এজিইজ়’। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। মানবদেহ এই এজিইজ়কে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কমাতে পারে। কিন্তু একই সঙ্গে অনেক এজিইজ় শরীরে গেলে ওই প্রক্রিয়া তার সঙ্গে তাল না মেলাতেও পারে। সাধারণত বেশি তাপমাত্রায় তৈরি খাবারে বেশি এজিইজ় থাকে। স্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন ভাজা ডিমের থেকে অনেক কম এজিইজ় থাকে ভাপা ডিমে।
তফাত কতটা?
স্বাস্থ্যবিদদের একাংশ বলছেন, দু’টি ‘সানি সাইড আপ’ পদ্ধতিতে ভাজা ডিমে এজিইজ় থাকে ২৪৭৪ কিলোইউনিট। অন্য দিকে, জলে ভাপানো ডিমে ওই একই এজিইজ় থাকে ৫৪ কিলো ইউনিটসেরও কম। সাধারণত সুস্থ শরীরের জন্য সারা দিনে মোট ১০ হাজার কিলো ইউনিটসের বেশি এজিইজ়ের বেশি খাবার খেতে বারণ করা হয়। তাই প্রাতরাশেই তার এক চতুর্থাংশ ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত নয়। সে ক্ষেত্রে ভাজা ডিম এড়িয়ে ভাপা ডিম খাওয়াই ভাল।
কী ভাবে বানাবেন?
দু’টি ডিম নিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তাতে সামান্য জল মিশিয়ে নিন। এ বার একটি কানা উঁচু বাটিতে ওই মিশ্রণটি ঢেলে নিন। প্রেসার কুকারের সামান্য জল গরম করুন। তার উপর একটি লোহার ছোট স্ট্যান্ড বসিয়ে ওই ডিমের মিশ্রণটি বসিয়ে নিন। এ বার একটি ঢাকনা দিয়ে কুকারের মুখ ঢেকে দিন। সিটি দেবেন না। এমনকি, প্রেসার কুকারের ঢাকনাও লাগানোর দরকার নেই। যেকোনও ঢাকনা দিলেই হবে। ১০-১২ মিনিট রেখে পাত্রটিকে বার করে আনুন। ভাপা ডিম তৈরি। এ বার টুকরো করে কেটে নিয়ে পরিবেশন করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy