প্রতীকী ছবি
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জনেরও বেশি ভারতীয়রা জীবনে বেশির ভাগ সময় কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। এই বেদনাদায়ক অস্বস্তি অনুভব করছেন এ রকম অনেকেই আমাদেরই আশেপাশের মানুষ। এর কারণ হিসেবে খাদ্যতালিকায় চর্বির আধিক্য, দৈনন্দিন কু-অভ্যাস, ভ্রমণ বা শারীরিক কার্যকলাপের অভাব ইত্যাদি অনেক কিছুই হতে পারে। এমনকি রক্তে শর্করার বৃদ্ধিও স্নায়ুর ক্ষতি করে যা কোষ্ঠকাঠিন্যকে ত্বরান্বিত করে। কিন্তু এর প্রতিকার না হলে রেচনতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিও হওয়া সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে যোগাসনের সাহায্যে এই সমস্যার সমাধান সহজে পাওয়া যেতে পারে।
১। চিৎ হয়ে শুয়ে আপনার হাঁটু বেঁকিয়ে উরুদুটিকে আপনার পেটের কাছে আনুন। হাঁটু এবং গোড়ালি একসঙ্গে রাখুন। আপনার হাত দুটি পায়ের চার পাশে আনুন এবং হাত দিয়ে পা দুটিকে বুকের কাছে আঁকড়ে ধরুন। ঘাড় অল্প তুলুন এবং আপনার চিবুকটি বুকের উপর রাখুন। পাঁচ সেকেন্ডের জন্য এই অবস্থানটি ধরে রাখুন এবং তারপরে পুনরাবৃত্তি করুন।
২। আপনার পা অল্প ফাঁক করে দাঁড়ান। হাঁটু বেঁকিয়ে নিন এবং আপনার নিতম্ব নিচু করে উবু হয়ে বসার ভঙ্গি করুন। হাতের তালুগুলিকে একত্রিত করতে আপনার কনুই বেঁকিয়ে নিন এবং হাত দুটি আপনার হাঁটুর ভিতর দিকে নিয়ে যান। মেরুদণ্ড এবং ঘাড় সোজা রেখে কাঁধ শিথিল করুন। ৭ সেকেন্ডের জন্য এই অবস্থানে থেকে শরীর শিথিল করে এক মিনিট আরাম করে এই আসনটি অন্তত চার থেকে পাঁচ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
৩। আপনার পায়ের গোড়ালি উঁচু করে সমতল জায়গা বা মাদুরের উপর হাঁটু গেড়ে বসুন। পায়ের আঙ্গুলগুলি একসঙ্গে করে নিন এবং হাঁটুদুটি একে অপরের থেকে কিছুটা দূরে রাখতে হবে। আপনি উভয় হাত আপনার পাশে রাখতে পারেন। শ্বাস ছাড়ুন এবং আপনার ঊর্ধ্বাঙ্গকে সামনের দিকে নামিয়ে আনুন। উরুর সঙ্গে পেট স্পর্শ করিয়ে প্রশ্বাস টেনে রাখুন কয়েক সেকেন্ড। হাত সামনের দিকে রাখুন এবং মাটিতে স্পর্শ করিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে শরীর শিথিল করে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসতে হবে এ বার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy