সেরা তাসকে নিয়ে কোচ। শনিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
ইস্টবেঙ্গল মাঠের এক বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে টিম মিটিং। ফুটবলারদের ভিড়ের ফাঁক দিয়ে চোখ পড়লে কখনও-সখনও ভেসে উঠছে তাঁর বিষণ্ণ মুখ! ফেড কাপে ব্যর্থতার পরে লাল-হলুদের যে আত্মবিশ্বাসী কোচ বুক চিতিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আই লিগ জেতা আমার একমাত্র লক্ষ্য’, সেই আর্মান্দো কোলাসো শনিবার রাংদাজিদ ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে যেন অন্য জগতের বাসিন্দা! আই লিগ শৃঙ্গ-জয়ের আর স্বপ্ন নেই চোখে। বরং ময়দানের প্রথম গোয়ান কোচ সম্মানের দোহাই দিয়ে বলছেন, “ইস্টবেঙ্গলের মতো দলে প্রত্যাশার চাপ অনেক। চেষ্টা করব অন্তত তিনে শেষ করার।”
লাল-হলুদ ড্রেসিংরুমের চেহারাটা আবার একেবারে আলাদা। প্র্যাকটিসে তো বটেই, মাঠের বাইরেও ফুরফুরে মেজাজে হরমনজিৎ-অ্যালভিটোরা। কখনও কর্তাদের সঙ্গে রসিকতায় ব্যস্ত সৌমিক-মেহতাব, কখনও চিডির ঠাট্টা “আমার মেয়ে আর ওপারার ছেলে। ভাবছি বড় হলে দু’জনের বিয়ে দেব।” কোচের শরীরী ভাষায় যে গুমোট ভাব, সেটা তাঁর ফুটবলারদের মধ্যে নেই! এবং র্যান্টি মার্টিন্সদের বিরুদ্ধে চিডিদের টিমস্পিরিটই রবিবারের লড়াইয়ে এগিয়ে রাখছে ইস্টবেঙ্গলকে।
তবে রাংদাজিদ যে লাজং নয়, সেটাও ঠিক। আই লিগে পাহাড়ের দু’টো দলের মধ্যে এখন ধারাবাহিক টিম রাংদাজিদ। টানা তিন ম্যাচ অপরাজিত। রাংদাজিদে পরিবর্তনের প্রধান দু’টো কারণ নতুন কোচ হেরিং সাংপ্লিয়াং এবং র্যান্টি-কিম ইয়ংয়ের মতো নতুন ফুটবলার রিক্রুট। অধিনায়ক এরিকসন লিংডো বলছিলেন, “নতুন কোচ দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমাদের টিমে প্রথম এগারোয় ঢোকার প্রতিযোগিতা বেড়ে গিয়েছে।”
আর্মান্দোর প্র্যাকটিস দেখে আবার মনে হল, তাঁর স্ট্র্যাটেজি র্যান্টি-কিমকে আটকানোর চিন্তার মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। ওপারার অনুপস্থিতিতে হরমনজিতকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে রক্ষণে। মাঝমাঠে মেহতাবের অভাব ঢাকতে জোয়াকিম আব্রাঞ্চেসকে খেলানো হতে পারে। বাকি টিম অপরিবর্তিত। রাংদাজিদ ম্যাচে তিন পয়েন্ট তুলতে কলকাতার দুপুরের গরমও খানিকটা অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে ইস্টবেঙ্গলের। পরিসংখ্যান বলছে, র্যান্টিরা তিনটে ম্যাচই জিতেছেন শিলংয়ের ঠান্ডায়। যুবভারতীতে ম্যাচ দুপুর তিনটেয় শুরু হচ্ছে বলে সামান্য হলেও যেন স্বস্তিতে আর্মান্দো!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy