স্নান করলেই গা চুলকোয়? ছবি: সংগৃহীত।
শরীর সুস্থ রাখতে জলের বিকল্প নেই। অথচ জলেই নাকি তাঁর সবচেয়ে সমস্যা। ডিম, মাংস, বিভিন্ন রকম শাকসব্জিতে অ্যালার্জি আছে অনেকেরই। এই ধরনের খাবার খেলে অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগে থাকেন। কিন্তু আমেরিকার দক্ষিণ ক্যারোলিনার বাসিন্দা এক তরুণীর রয়েছে জলে অ্যালার্জি। তাই দিনের পর দিন স্নান না করেই কাটাতে হয় ২২ বছর বয়সি লোরেন মন্টেফাস্কোকে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শুধু স্নান নয়, জলের সংস্পর্শে এলেই লরেনে সারা গা র্যাশে ভরে যায়। চুলকোতে শুরু করে। ঘণ্টাখানেক ধরে চলতে থাকে এই ধরনের অস্বস্তি। কখনও কখনও যন্ত্রণাও শুরু হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই রোগকে বলা হয়, ‘অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিক্যারিয়া’। ঠিক কী কারণে এই রোগ হয়, তা স্পষ্ট করে বলা মুশকিল। লোরেনের বয়স যখন ১২, সেই সময়ে ত্বকে এই ধরনের সমস্যা প্রথম ধরা পড়ে। অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে বছর তিনেক পর। যে হেতু এই রোগের নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই, তাই বেশির ভাগ সময়েই জল এড়িয়ে চলেন তিনি। খুব প্রয়োজন হলে জলে তোয়ালে ভিজিয়ে গা মুছে নেন। ভেজা গায়ে বেশি ক্ষণ থাকলেই আবার যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। তাই সঙ্গে সঙ্গে পোশাক পরে ফেলতে হয় লোরেনকে। ত্বকের রোম তুলতে ওয়্যাক্স কিংবা শেভিং করলেও একই রকম সমস্যা হয়। তাই চুলে ড্রাই শ্যাম্পু ছাড়া অন্য কিছু করার উপায় থাকে না।
লোরেনের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরে মধ্যে যে তরল রয়েছে, তা থেকে কোনও সমস্যা হয় না। জল বাইরে থেকে শরীর স্পর্শ করলেই সমস্যা শুরু হয়। জল পরিশোধন করেও কোনও লাভ হয়নি। এমনকি বৃষ্টি হলেও লোরেন বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন না। কিংবা কোনও প্রয়োজনে বাইরে গেলেও আপাদমস্তক শরীর ঢেকে রাখেন মোটা কোনও পোশাকে।
এই রোগ খুবই বিরল। ‘অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিক্যারিয়া’য় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সারা পৃথিবীতে হাতে গোনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy