বোটক্সের বিপদ। ছবি: সংগৃহীত।
মাইগ্রেনের তীব্র যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বোটক্স চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়েছিলেন এক তরুণী। সেই ইঞ্জেকশন নেওয়ার পরেই তাঁর মুখের একাংশ অবশ হয়ে যায়। কথা বলা তো দূর, জল খাওয়ার মতো অবস্থাতেও ছিলেন না তিনি। ১৮ দিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত থাকার পর চিকিৎসকদের তৎপরতায় নতুন জীবন ফিরে পান তিনি। কী করে এমনটা ঘটল, সেই বর্ণনা নিজেই সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন ওই তরুণী।
আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা, তিন সন্তানের মা, বছর ৩৫-এর অ্যালিসিয়া হ্যালক নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, মাইগ্রেনের সমস্যা তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই সমস্যা থেকে রেহাই পেতেই বোটক্স ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন তিনি। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই অ্যালিসিয়ার মুখ অবশ হতে শুরু করে। গলা, ঘাড়ের পেশিও স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছিল না। শুধু তাই নয়, দৃষ্টিশক্তিও ঝাপসা হয়ে আসছিল। খুব কষ্ট করে চোখের পাতা ফেলতে হচ্ছিল। তাঁর কথায়, “আমার ঘাড়, গলা, মাথা নাড়ানোর ক্ষমতা ছিল না। তবে পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করল, যখন সামান্য খাবারও গিলতে পারছিলাম না। শুধু তাই নয়, নিজের লালারস গলায় আটকে আমি প্রায় মারা যেতে বসেছিলাম। চিকিৎসকদের তৎপরতায় আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।”
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বোটক্স চিকিৎসা নিরাপদ নয়। এই ধরনের চিকিৎসার যথেষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বোটক্স এক ধরনের নিউরোটক্সিক প্রোটিন। এর সাহায্যে মুখের পেশিগুলিকে অস্থায়ী ভাবে প্যারালাইজ়ড করে দেওয়া যায়। ফলে পেশির সঙ্কোচন-প্রসারণ সাময়িক ভাবে রুখে যায়। শুধু মাইগ্রেনের চিকিৎসাতেই নয়, মুখের খুঁত ঢাকতে, রেশমের মতো চুল পেতে আজকাল অনেকেই এই চিকিৎসার শরণাপন্ন হচ্ছেন। পাতলা ঠোঁট পুরু করাতেও এই ট্রিটমেন্ট বেশ কার্যকর। তবে, এই নিউরোটক্সিক প্রোটিন কার শরীরে কী ভাবে বিক্রিয়া করবে, তা আগে থেকে বলা মুশকিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy