রান্নার উপর ডিমের পুষ্টিগুণ অনেকটাই নির্ভর করে। ছবি- সংগৃহীত
ডিম নিয়ে বেশির ভাগ মানুষেরই প্রচলিত ধারণা, যত রোগের মূলে তার কুসুম। কিন্তু সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণা এই ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, কুসুমে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ভাল কোলেস্টেরল, যা হার্টের জন্য উপকারী। এ ছাড়াও প্রতি দিন প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে কুসুম-সহ একটি করে ডিম খাওয়া যেতেই পারে।
প্রতি দিন ডিম খাবেন কেন?
ডিম প্রোটিনের সেরা উৎস। শরীরের ঘাটতি পূরণ করতে যত প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড প্রয়োজন হয়, তা পাওয়া যায় ডিমে। কুসুমে রয়েছে ‘কোলিন’ নামক একটি যৌগ। যা মস্তিষ্কের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের মধ্যে থাকা ‘লুটেইন’ বয়সজনিত নানা রকম রোগ ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে।
হার্টের সমস্যা থাকলে কুসুম বাদ দিয়ে ডিম খাওয়া উচিত?
‘ডায়েটারি কোলেস্টেরল অ্যান্ড দ্য ল্যাক অফ এভিডেন্স ইন কার্ডিয়োভাসকুলার ডিজ়িজ়’ পত্রিকায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্যে বলা হয়েছে, “রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর খাবারে থাকা কোলেস্টেরলের কোনও প্রভাব খাটে না।” বর্তমানে চিকিৎসকেরা হার্টের রোগীদেরও ক্ষেত্র বিশেষে প্রতি দিন কুসুম-সহ একটি করে ডিম খেতে পরামর্শ দেন।
ডিম ভাজা খাবেন না সেদ্ধ?
ডিমের কুসুমের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল, তা কী ভাবে খাচ্ছেন। কারণ, রান্নার উপর ডিমের পুষ্টিগুণ অনেকটাই নির্ভর করে। সেদ্ধ, পোচ বা ভুর্জি— যা-ই তৈরি করুন না কেন, প্রতিটি খাবারের রান্নার পদ্ধতি আলাদা। পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে গেলে সেই পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন। তবে ডিম ভাজার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্যালোরি এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy