রাতে অফিস থেকে ফিরে সিনেমা দেখতে গিয়ে ঘুমোতে যেতে দেরি হয়ে যায় অনেকের। প্রতীকী ছবি।
কর্মব্যস্ততা, কাজের চাপ, বাড়িতে ফিরেই আবার কাজ নিয়ে বসা— সব মিলিয়ে ঘুমতে যেতে রাত হয়ে যায় অনেকেরই। পরের দিন সকালে আবার তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার তাড়া থাকে। ফলে খুব কম সময়ের জন্য ঘুমোনোর সুযোগ পান অনেকেই। এই ঘুমের ঘাটতি অনেক শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়। তাই চিকিৎসকরা সব সময়ে তা়ড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়ার কথা বলে থাকেন। এতে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলেও ঘুমের ঘাটতি তৈরি হয় না। হজমশক্তিও ভাল থাকে। এ ছাড়াও তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়ার আরও বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে।
মানসিক উদ্বেগ কমে
গবেষণায় প্রমাণিত যে, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে মনের উপর চাপ তুলনামূলক ভাবে কম পড়ে। দেরিতে ঘুমোতে যাওয়া মানে মন চিন্তায় বেশি আচ্ছন্ন থাকে। ফলে মানসিক উদ্বেগের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যদি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব হয়, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হলে মন অনেকটা ফুরফুরে হয়ে যায়।
ওজন বাড়ে না
শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। ঘুমের অভাবে স্থূলতার সমস্যা বাড়তে থাকে। রোগা হওয়ার জন্য যে নিয়মগুলি মানতে হয়, তার মধ্যে অন্যতম হল পর্যাপ্ত ঘুম। দেরিতে ঘুমোলে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের যে পরিমাণ ঘুমোনো উচিত, তাতে ঘাটতি পরে। তাই সম্ভব হলে তাড়াতা়ড়ি ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে
অপর্যাপ্ত ঘুম যে শারীরিক সমস্যাগুলির জন্ম দেয়, তার মধ্যে অন্যতম হল হৃদ্রোগ। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, কম ঘুম হওয়ার মতো কয়েকটি কারণেই হৃদ্রোগ দেখা দেয়। হদ্রোগ ঠেকাতে চিকিৎসকরা তাই পর্যাপ্ত ঘুমোনোর কথা বলে থাকেন। ঘুম কম হওয়ার কারণে শুধু হৃদ্রোগ নয়, সেই সঙ্গে দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো আরও অনেক সমস্যা।
দিনে কাজের ফাঁকে ঘুম কম পাবে
অফিসে কাজের ফাঁকে ঘুমে ঢুলে পড়তে না চাইলে, অফিস থেকে বাড়ি ফিরে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে নিলে দিনের বেলা শারীরিক ভাবে ক্লান্তি অনুভব হয় না। আর তার জেরে দিনের বেলা ঘুমের প্রয়োজন সে ভাবে পড়ে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy