কী খেলে বাড়বে খুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা? ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকাল মানেই ছোটদের প্রিয় মরসুম। বৃষ্টিতে ভেজা, খিচুড়ি খাওয়া, ঘন ঘন স্কুল ছুটি, জমা জলে ঝাঁপাঝাঁপি করে খেলা করা— তাদের আনন্দ আর দেখে কে! কিন্তু খুদেদের যতটা আনন্দ, তাদের বাবা-মায়েদের ততটাই বিড়ম্বনা। বর্ষা মানেই বাচ্চাদের কোনও না কোনও রোগ লেগেই থাকে। ঠান্ডা লাগা, জ্বর, কাশি, পেটের গোলমাল— কিছু না কিছু চলছে। তাই অভিভাবকদেরও এই সময় বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। বৃষ্টি, বিশেষ করে জমা জল থেকে নানা রকম সংক্রমণ ছড়ায় আর্দ্র পরিবেশে সহজেই ব্যাক্টেরিয়া-ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি হয়। এই সময় সন্তানদের সুস্থ রাখতে আগে সব বাড়িতেই মা, দিদিমারা তুলসী, বাসক পাতার মতো আয়ুর্বেদিক পথ্যের সাহায্য নিতেন। আর ছিল চ্যবনপ্রাশ, যা শিশুদের খাওয়ানো হত এই সময়। সর্দি-কাশি, সংক্রমণ থেকে শিশুদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে যা ছিল অব্যর্থ দাওয়াই। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ মুনি ‘চ্যবন’-এর নাম ও ‘প্রাশ’ (বিশেষ ভাবে তৈরি খাবার) মিলে নামকরণ হয়েছে এই পথ্যের। কেবল শীত কিংবা বর্যাকালেই নয়, এই পথ্য সারা বছর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, রইল সেই হদিস।
মোট চল্লিশ ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় চ্যবনপ্রাশ। এই সব উপকরণের মধ্যে রয়েছে আমলকি, মধু, অশ্বগন্ধা, চন্দন গুঁড়ো, অর্জুন গাছের ছাল, ঘি, ত্রিফলা অন্যতম।
খাওয়ার নিয়ম কী?
এক চামচ চ্যবনপ্রাশ খাওয়া যেতে পারে। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেই চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন। হয় সকালে খালি পেটে, আর না হয় রাতে খাবার খাওয়ার পর এই চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন। মনে রাখবেন, খাওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে এটি না খাওয়াই ভাল। অনেকে গরম দুধে চ্যবনপ্রাশ মিশিয়েও খান।
সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে বাঁচতে চ্যবনপ্রাশ খাওয়া যেতেই পারে। এ ছাড়া, আর কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে চ্যবনপ্রাশের?
১) ফুসফুসের দেখভাল করে।
২) হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
৩) শক্তি বাড়ায়।
৪) রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং দূষিত পদার্থ বার করে দেয়।
৫) রক্তচাপ স্বাভাবিক করে।
৬) কোলেস্টেরলের জন্য ভাল।
৭) নানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy