পরিছন্ন শৌচাগারের অভাব গোটা দেশেই অত্যন্ত বড় একটি সমস্যা। অপরিছন্ন শৌচকর্ম থেকে রোগ জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেকটাই। ছড়িয়ে পড়তে পারে নানা ধরনের রোগ। নারীদের সমস্যা আরও বেশি। এমনকি, কমোড রয়েছে এমন শৌচাগারেও সঠিক ভাবে বসে মূত্র ত্যাগ করতে ভয় পান অনেক নারী। স্পর্শের মধ্য দিয়ে মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউটিআই ও বিভিন্ন যৌন রোগ বা এসটি়ডি-তে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে অনেকেই সঠিক ভাবে না বসেই মূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক ভাবে না বসে বা আধ বসা অবস্থায় মূত্র ত্যাগ করতে গেলে দেখা দিতে পারে ‘পেলভিক অরগান প্রোল্যাপস’। এই সমস্যায় বিভিন্ন জননঅঙ্গ ও যৌনাঙ্গ তলপেট সংলগ্ন অঞ্চল থেকে যোনির দিকে নেমে আসতে পারে। সাধারণত মৃত্যুর ঝুঁকি না থাকলেও এর ফলে বেশ ব্যথা ও অস্বস্তি হতে পারে। পাশাপাশি বারবার এ ভাবে মূত্র ত্যাগ করলে পেলভিস বা শ্রোণি অঞ্চলের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন:
এ কথা সত্য যে কমোডে একাধিক রোগ জীবাণু থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাহ্যিক পরিবেশে অধিকাংশ জীবাণুর আয়ুই মিনিট খানেকের বেশি নয়। তা ছাড়া জীবাণু মূত্রনালীর সংস্পর্শে না এলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমই। আর পশ্চাতদেশে ক্ষতস্থান না থাকলে যৌন রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও বেশ কম। তবু যদি কেউ সঙ্কোচ বোধ করেন, তবে বসার আগে ছড়িয়ে নিতে পারেন বিশেষ ধরনের জীবাণু নাশক স্প্রে। এই ধরনের পদার্থর অভাব নেই বাজারে। কাজেই আধবসা অবস্থায় প্রস্রাব না করাই ভাল।