Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Injection

কখনও হাত, কখনও নিতম্ব, বিভিন্ন টিকা বিভিন্ন স্থানে কেন দেওয়া হয় জানেন?

কিছু ক্ষেত্রে হাত নয়, টিকা নিতে হয় নিতম্বে। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দিতে হাতের বদলে বেছে নেওয়া হয় অন্য কোনও স্থান।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টিকা নিতে গেলে জামার হাতা তুলে ধরাই দস্তুর।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টিকা নিতে গেলে জামার হাতা তুলে ধরাই দস্তুর। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৩৬
Share: Save:

হাত-পা কাটলে দেওয়া টিটেনাস থেকে হালের করোনা টিকা। অসংখ্য মারণরোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষের ভরসা বিভিন্ন ধরনের ওষুধের ইঞ্জেকশন। এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টিকা নিতে গেলে জামার হাতা তুলে ধরাই দস্তুর। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাতে কাজ হয় না। কিছু কিছু টিকা নিতে হয় নিতম্বে। শুধু টিকাই নয়, বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জেকশন নেওয়ার সময়ও মাঝেমধ্যে হাতের বদলে বেছে নেওয়া হয় অন্য কোনও স্থান। কিন্তু কেন বাহুর বদলে অন্য স্থানে এই ধরনের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় জানেন?

হাতে দেওয়া ইঞ্জেকশনের ক্ষেত্রে সাধারণত বাহুর যে স্থানে সুচ ফোটানো হয় সেই পেশিটির নাম ডেল্টয়েড। ওষুধ সেই পেশি দিয়ে প্রবেশ করে ছড়িয়ে পড়ে দেহের অন্যত্র। কিন্তু এই পেশিটি একসঙ্গে বেশি পরিমাণ ওষুধ গ্রহণ করতে পারে না। সাধারণ ভাবে এক মিলিলিটার বা তার কম পরিমাণ ওষুধই এই পেশিতে দেওয়া হয়। যখন বেশি পরিমাণ ওষুধ পেশির মধ্যে ইঞ্জেকশন মারফত দিতে হয়, তখন আর হাতে ইঞ্জেকশন দেওয়া চলে না। কখনও কখনও আবার কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় জ্বালা হতে পারে। যেমন যাঁরা নিয়ম করে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেন, তাঁদের সাধারণত নাভির ৪ আঙুল দূরে তলপেটে ওষুধ নিতে বলা হয়। এর কারণ তলপেটে সাধারণত মেদ বা স্নেহপদার্থ বেশি থাকে, যা ইনসুলিন নেওয়ার জন্য উপযুক্ত।

পশ্চাদ্দেশের যে পেশিতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, সেই পেশিটির নাম ভেন্ট্রোগ্লুটিয়াল পেশি।

পশ্চাদ্দেশের যে পেশিতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, সেই পেশিটির নাম ভেন্ট্রোগ্লুটিয়াল পেশি। প্রতীকী ছবি

পশ্চাদ্দেশের যে পেশিতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, সেই পেশিটির নাম ভেন্ট্রোগ্লুটিয়াল পেশি। তবে ঠিক ‘নিতম্ব’ বলতে যা বোঝায়, এটি তার থেকে একটু পাশের দিকে অবস্থিত। এই পেশিটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ একটি স্থান। শরীরের এই অঞ্চলে বিশেষ কোনও গুরুত্বপূর্ণ রক্তবাহ কিংবা স্নায়ু থাকে না। ফলে সুচ ফোটালেও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে ৭ মাস বয়সের পর থেকেই এখানে টিকা দেওয়া যেতে পারে।

আগেকার দিনে নিতম্বের ডারসোগ্লুটিয়াল পেশিতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হত। এখন আর সাধারণত চিকিৎসকরা এই পেশিতে টিকা দেন না। কারণ এই পেশির কাছেই থাকে সায়াটিক নার্ভ। তাই এই অংশে টিকাকরণের সময় এই স্নায়ুটির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অন্য বিষয়গুলি:

Injection Science
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy