Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Health Benefits of tamarind

বর্ষার মরসুমে প্রায়ই সর্দি-জ্বরে ভুগছেন? ডায়েটে কোন শরবত রাখলে নিস্তার পাবেন চটজলদি

তেঁতুলের ব্যবহার মানেই হয় তা কোনও ঘরোয়া কাজে, নয়তো খাদ্যে স্বাদবৃদ্ধির উপাদান হিসাবে। কিন্তু তেঁতুল যে স্বাস্থ্যকর আরও কিছু দিক রয়েছে, সে খবর রাখেন কি? জেনে নিন, কেন রোজের খাদ্যতালিকায় তেঁতুল রাখা জরুরি।

সর্দি-কাশি, জ্বরের দাওয়াই হতে পারে সুস্বাদু শরবত।

সর্দি-কাশি, জ্বরের দাওয়াই হতে পারে সুস্বাদু শরবত। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ১১:৪৬
Share: Save:

চাট হোক কিংবা ফুচকা— মুখরোচক খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে তেঁতুলের কোনও জবাব নেই। গৃহস্থ বাড়িতে তেঁতুলের ব্যবহার মানেই হয় তা কোনও ঘরোয়া কাজে, নয়তো খাদ্যে স্বাদবৃদ্ধির উপাদান হিসাবে। কিন্তু তেঁতুল যে স্বাস্থ্যকর আরও কিছু দিক রয়েছে, সে খবর রাখেন কি? জেনে নিন, কেন রোজের খাদ্যতালিকায় তেঁতুল রাখা জরুরি।

১) তেঁতুলে থাকা নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এই সময়ে হবু মায়েদের অনেকের ক্ষেত্রেই রক্তচাপ বেড়ে যায়। তেঁতুলের পটাশিয়াম এবং আয়রন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই তেঁতুল খাওয়া অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বেশ উপকারী।

২) তেঁতুলের মধ্যে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড খাবার থেকে আয়রন সংগ্রহ করে শরীরের বিভিন্ন কোষে তা পরিবহণ করে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বেড়ে যায়।

তেঁতুলে থাকা নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

তেঁতুলে থাকা নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।

৩) অনেকেই সারা বছর ধরে বদহজমে ভোগেন। হজমজনিত সমস্যা রুখতে তেঁতুল কিন্তু ভাল দাওয়াই হতে পারে। এক কাপ জলে তেঁতুল ভিজিয়ে সামান্য নুন, চিনি বা গুড় মিশিয়ে খেলে বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তেঁতুলে ডায়াটারি ফাইবার ভাল মাত্রায় থাকে, যা হজম করতে সাহায্য করে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও ভরসা রাখতে পারেন তেঁতুলের উপর।

৩) তেঁতুলের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ পরোক্ষে রক্তে শর্করার মাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণ করে। তেঁতুলে উপস্থিত উৎসেচক শরীরে শর্করার শোষণ মাত্রা কমিয়ে দিয়ে শর্করা নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। ফলে ডায়াবিটিসকে অনেকটাই প্রতিরোধ করে তেঁতুল।

৪) বর্ষার মরসুমে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গরম জলে তেঁতুল আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যেগুলি শারীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধেও তেঁতুল অত্যন্ত কার্যকর।

৫) তেঁতুলে হাইড্রক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। এই অ্যাসিড সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়িয়ে খিদে কমায়। খাবারে রাশ টানলেই ওজন বাড়বে না। এ ক্ষেত্রে ডায়েটে তেঁতুলের শরবত রাখতে পারেন। তেষ্টাও মিটবে, আর সুস্বাস্থ্যও পাওয়া যাবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Monsoon Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy