শীতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
পুষ্টিগুণে ভরপুর, আয়রনের অন্যতম উৎস খেজুরকে যদি প্রতি দিন ডায়েটে রাখা যায়, তা হলে অসুখবিসুখের সঙ্গে লড়াই যেমন সহজ হয়, তেমনই ওবেসিটিকেও বাগে আনা যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ০.০৯ গ্রাম আয়রন থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই এই খেজুর থেকে মেলে। খেজুরের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম আছে। ফাইবারের জোগানও যথেষ্ট। তাই এই ফল ডায়েটে রাখতে পারলে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি সহজেই মেলে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে ঘিয়ে ভেজানো খেজুর আরও অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। কী ভাবে বানাবেন এই মিশ্রণ? এক কাপ ঘি গরম করে তাতে আধ চামচ করে আদার গুঁড়ো, এলাচের গুঁড়ো, দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। ১ থেকে দু’মিনিট পর গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন। এ বার মিশ্রণটি গ্যাস থেকে নামিয়ে অশ্বগন্ধা মিশিয়ে নিন আধ চা চামচ। এ বার একটি কাচের পাত্রে ১৫টি খেজুর রেখে তার উপর ঠান্ডা করা ঘিয়ের মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এ বার ঠান্ডা কোনও জায়গায় মিশ্রণটি রেখে দিন। তিন থেকে চার দিন পর এক একটি করে খেজুর খেতে পারেন। রোজ নিয়ম করে মিশ্রণটি খেলে কী লাভ হয় শরীরের?
১) খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার থাকায় বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কম হয়। অন্য দিকে, ঘিয়ে থাকে বিভিন্ন যৌগ, যা হজমে সাহায্যকারী উৎসেচক ক্ষরণ করে। তাই পেটের সমস্যায় ভুগলে নিয়ম করে এই মিশ্রণটি খাওয়া যায়।
২) খেজুরে শর্করার পরিমাণ ভাল থাকায় শরীরচর্চার ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য করে এটি। সবচেয়ে সুবিধের বিষয় হল খেজুর খেলে ওজন বাড়ে না। তাই শরীরচর্চার ক্লান্তি কাটাতে খেতেই পারেন খেজুর। অন্য দিকে, ঘিয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও কিন্তু চটজলদি শরীরে ক্লান্তি দূর করে শরীর চাঙ্গা করতে সাহায্য করে।
৩) শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে তার থেকেও প্রতিরোধ করতে পারে খেজুর। যাদের অ্যালার্জির ধাত রয়েছে, তাঁরা খেজুর খেলে উপকার পাবেন। অন্য দিকে, শীতকালে সংক্রমণ ঠেকাতে ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। গাঁটের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতেও এই মিশ্রণ বেশ উপকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy