বেশির ভাগ সংক্রমণের কারণ দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাসের নয়া রূপ ওমিক্রন। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে ফের দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। চিন, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনামের পাশাপাশি ইউরোপে আক্রান্তদের সংখ্যা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। বেশির ভাগ সংক্রমণের কারণ দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাসের নয়া রূপ ওমিক্রন।
এ বছরে জানুয়ারি মাসের গোড়া থেকে টানা পাঁচ সপ্তাহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই করোনা সংক্রমণের লেখচিত্র ছিল নিম্নমুখী। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছিল, বিগত এক সপ্তাহে সংক্রমণের হার বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশের বেশি। করোনা সংক্রমণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ৭ মার্চ থেকে ১৩ মার্চের মধ্যে বিশ্বে নতুন করে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪৩ জনের। বর্তমান এই করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
জানুয়ারির শেষ দিকে ওমিক্রন সংক্রমণের হার খানিকটা হ্রাস পাওয়ায় অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। মনে করা হচ্ছিল এটাই বুঝি ওমিক্রনের প্রথম এবং শেষ ধাপ। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ওমিক্রনকে কেন্দ্র করে তেমনই তিনটি ভ্রান্ত ধারণার কথা সামনে এনেছে।
১) ওমিক্রনের উপসর্গগুলি অত্যন্ত মৃদু।
২) অতিমারি শেষ হয়ে গিয়েছে।
৩) ওমিক্রনই করোনার শেষ রূপ।
এই ধারণাগুলি থেকে তৈরি হওয়া অসচেতনতাই ফের করোনা সংক্রমণের নেপথ্যে কারণ বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর এক স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার রূপ বি.১.১ এর সঙ্গে সক্রিয়তার দিক থেকে সাম্প্রতিক বি.২ রূপের কোনও পার্থক্য নেই। দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালেও ভর্তি করানোর প্রয়োজন পড়ছে।’’
এই পরিস্থিতির এক মাত্র অস্ত্র হিসাবে প্রাথমিক ভাবে করোনা টিকার কথাই উঠে আসছে বিশেষজ্ঞ মহল থেকে। করোনার বিরুদ্ধে একমাত্র অস্ত্র না হলেও টিকা দেওয়া থাকলে অন্তত মৃত্যুর আশঙ্কা কমতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy