জন্মের কয়েক মুহূর্ত পর এমন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ঘটনা বিরলতম। ছবি- সংগৃহীত
মধ্যবয়সিদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নতুন নয়। তবে জন্মের কয়েক মুহূর্ত পর এমন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ঘটনা বিরলতম। চিকিৎসকেরা বলছেন, সদ্যোজাতদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন না পৌঁছলে বা ভূমিষ্ঠ হওয়ার ধকল সহ্য করতে না পেরে হাঁপিয়ে পড়লে অনেক সময় হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। হালের গবেষণা বলছে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ‘ভ্যাসোপ্রেসিন’ নামক এক হরমোনের গুরুত্ব অপরিসীম। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যান্টিডাইউরেটিক পর্যায়ভুক্ত এই হরমোন ব্যবহারে রক্তবাহিকাগুলির পথ মসৃণ হয়। ফলে সারা দেহে রক্ত চলাচলও স্বাভাবিক হয়। ধীরে ধীরে রক্তচাপও স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নবজাতকদের মধ্যে এই রোগ সত্যিই বিরল। ৫০০ জন শিশুর মধ্যে হয়তো ১ জন এমন পরিস্থিতির শিকার হয়। তাদের নিয়ে করা বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুদের ‘হাইপক্সিয়া’, ‘হাইপোটেনশন’ এবং ‘পারসিসটেন্ট পালমোনারি হাইপারটেনশন’ এর মতো সমস্যায় বহুল ব্যবহৃত এই হরমোনটি জীবনদায়ী ভূমিকা পালন করে।
শিশুরোগ সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণারত চিকিৎসক সচিন শাহের নেতৃত্বে হওয়া একটি গবেষণা শেষে দেখা গিয়েছে, ৩১ জন সদ্যোজাতের মধ্যে ২৯ জনের শরীরে এই চিকিৎসা পদ্ধতি অভাবনীয় ভাবে কাজ করেছে। তথ্যটি সম্প্রতি ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। চিকিৎসক সচিন শাহ বলেন, “ভাসোপ্রেসিনের ব্যবহার সদ্যোজাতদের এই সমস্যায় বিশেষ ভাবে কার্যকর। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও গবেষণার প্রয়োজন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy