৭৪ বছর বয়সেও যে এমন তারুণ্য ধরে রাখা যায়, তা নোরমাকে না দেখলে বিশ্বাস হওয়ার কথা নয়। ছবি: সংগৃহীত।
টানা টানা চোখ। টান টান ত্বক। নির্মেদ শরীর। তন্বী চেহারা। এমন বর্ণনা শুনলে স্বাভাবিক ভাবেই মনে হতে পারে, কোনও কম বয়সি সুন্দরীর কথা বলা হচ্ছে। লিভারপুলের বাসিন্দা নোরমা উইলিয়ামসকে দেখে প্রথমে এই ভুলটা হয় অধিকাংশের। কিন্তু নোরমার বয়স জানার পর বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। ৭৪ বছর বয়সেও যে এমন তারুণ্য ধরে রাখা যায়, তা নোরমাকে না দেখলে বিশ্বাস হওয়ার কথা নয়।
ছোটবেলা থেকেই মডেল হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন নোরমা। কিন্তু অতিরিক্ত ওজনের কারণে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। প্রচণ্ড খেতে ভালবাসতেন তিনি। বিশেষ করে বাইরের ভাজাভুজি জাতীয় খাবারের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ প্রেম। কম বয়সে প্রতি দিনই তিনি বাইরের খাবার খেতেন। একটা সময়ে তিনি বাড়ির খাবারের স্বাদই ভুলতে বসেছিলেন। মুখরোচক খাবারের প্রতি ভালবাসা থেকেই বাড়তে থাকে ওজন। মডেল হওয়ার স্বপ্ন তো দূর, ওজনের কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
স্থূলতার সমস্যা সঙ্গে নিয়েই বার্ধক্যে পৌঁছন তিনি। ৫০ বছর বয়সে এসে তাঁর মনে হয়, এ বার ওজন কমানো জরুরি। শুরু করেন রোগা হওয়ার লড়াই। অর্ধেক বয়সে পৌঁছে নোরমা প্রতি দিন ৫.৫ কিলোমিটার হাঁটতেন। তার পর কঠোর শরীরচর্চা করতেন। ওজন তুলতেন। শরীরচর্চাতে মন দিলেও ডায়েটের ক্ষেত্রে কিন্তু খাবারের প্রতি সেই পুরনো প্রেম একেবারে ভুলে যেতে পারলেন না। সকালের খাবারে থাকত মধু এবং ক্রসো এবং দুধের তৈরি ক্যাপুচিনো। এমনকি, সারা দিনে তিন থেকে চারটে ক্যাপুচিনো খেয়ে নিতেন তিনি। প্রতিটি কাপে প্রায় দু’চামচ করে চিনি মেশানো থাকত। সেই সঙ্গে কুকিজ। রাতের খাবারে নোরমা খেতেন চিজ দিয়ে বেক করা মাংস, পাউরুটি, গ্রিলড স্যামন অথবা চিংড়ি, সেই সঙ্গে আলু এবং অন্যান্য সব্জি সেদ্ধ।
নোরমার এই ডায়েট রুটিন শুনে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। কারণ নোরমার চেহারার সঙ্গে তাঁর খাওয়াদাওয়ার কোনও মিল নেই। এত কিছু খেয়ে এমন ছিপছিপে চেহারা পাওয়া সম্ভব নয়। রহস্যভেদ করলেন অবশ্য নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, নিয়মিত শরীরচর্চার পর এক গ্লাস ওয়াইন খান তিনি। তাতেই নাকি সব ওজন ঝরে যায়। ৭০ পেরিয়ে ছিপছিপে তরুণীর মতো চেহারা পেয়েছেন, শুধুমাত্র ওয়াইনের গুণে। তেমনটাই জানিয়েছেন নোরমা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy