জল পানের সাত সতেরো। ছবি: সংগৃহীত
জলের আরেক নাম জীবন কিন্তু জানেন কি ভুল ভাবে জল খেলে বাঁধতে পারে বিপত্তি। কোন পাত্র থেকে জল খাবেন, কী ভাবে খাবেন, কখন খাবেন— সব কিছুই ঠিকঠাক হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সঠিক ভাবে জল না পান করলে, জল পানের সব উপকারিতা আমরা নাও পেতে পারি। দীর্ঘ ক্ষণ রেখে দেওয়া জল পান করলে অনেক সময় অনুভব করা যায় তার স্বাদের পরিবর্তন। কিন্তু জানেন কি, ঘটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জল উন্মুক্ত অবস্থায় রাখলে বাতাসের কার্বন-ডাইঅক্সাইড মিশতে শুরু করে জলে। ফলে পরিবর্তন ঘটে জলের অম্লত্বের। তবে তার মানে এই নয় যে এই জল খাওয়া নিরাপদ নয়।
কিন্তু জল ঢেকে না রাখলে মানুষের অগোচরেই জলে মিশতে পারে নানা জীবাণু। যা থেকে শরীর খারাপ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। অনেকেই আবার প্লাস্টিক বোতলে জল পান করেন। এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের তৈরি বোতলে দিনের-পর-দিন জল পান করলে তাতে বৃদ্ধি পায় শরীরে ক্যানসার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। আবার একই বোতল থেকে মুখ লাগিয়ে একাধিক মানুষ জল পান করলে মুখের লালা ও মিউকাসে মিশে থাকা অজস্র ব্যাকটিরিয়াও জলে মিশে যায়। ফলে এক জন কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হলে অন্য জনের মধ্যেও তা ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তা হলে জল খাওয়ার সঠিক পন্থাটি কী? যখনই সম্ভব হবে পরিশুদ্ধ জল খাওয়ার চেষ্টা করুন। বরফ, বিশেষ করে দোকান-বাজারে যা ব্যবহার করা হয়, তা জলে মিশিয়ে না খাওয়াই ভাল। রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরনের শরবত বিক্রি হয়, তৃষ্ণা নিবারণের জন্য এই ধরনের পানীয় অত্যন্ত উপযোগী হলেও রোজ রোজ এই ধরনের পানীয় খাওয়া ঠিক নয়। এতে অপরিশোধিত জলে থাকে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু যা একাধিক ভয়ানক রোগ ডেকে আনতে পারে। যাঁরা বোতল থেকে জল পান করেন, তাঁরা চেষ্টা করুন সম্ভব হলে গ্লাসে ঢেলে জল পান করতে। একই সঙ্গে বোতলে মুখ লাগিয়ে জল না খাওয়াই ভাল। দীর্ঘ দিন ধরে বোতলে রয়ে গিয়েছে, এমন জল পান করবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy