Advertisement
E-Paper

জ্বর, সর্দিকাশি কিছুতেই সারছে না? দ্রুত সুস্থ হতে কী করবেন, কোনগুলি নয়?

এক বার জ্বর, সর্দিকাশি হলে সহজে তা সারতে চাইছে না। ওষুধ খাওয়ার পরেও সময় লাগছে। তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে কী কী সুরক্ষা নেবেন? কোন কাজগুলি এ়ড়িয়ে চলবেন?

Symbolic Picture of Viral Problem.

বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে এই ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৩ ১২:৩১
Share
Save

ঋতু পরিবর্তনের সময়ে জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা নতুন নয়। প্রতি বারই এমন হয়। কিন্তু এ বছর যেন সর্দিকাশিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা খানিক বেশি। প্রতিটি ঘরেই জ্বর, ঠান্ডা লাগার প্রকোপ। কিছু দিন আগে হলেও জ্বর হলেও ধরা নেওয়া হত কোভিড হয়েছে। কিন্তু কোভিড আতঙ্ক কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। ফলে এই যে জ্বর আর সর্দিকাশি নিয়ে ভুগছেন অনেকে, তা আপাতত ‘ভাইরাল ফিভার’ বলেই ধরা হচ্ছে। তবে অনেক সময়ে জ্বর হলেও কী ধরনের জ্বর, তা বুঝতেই কেটে যায় অনেকগুলি দিন। অনেকেই জ্বর এলেও তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়েই জ্বর গায়েই বেরিয়ে পড়ছেন। তাতেই বাড়ছে বিপদ। জ্বর সাময়িক কমে গেলেও, শরীরের প্রতি অবহেলা আর অনিয়মে শরীরে বাসা বাঁধছে ভাইরাস। সময় মতো সঠিক চিকিৎসা শুরু না করায় আরও মারাত্মক রূপে হানা দিচ্ছে অসুস্থতা। ফলে সারতেও সময় লাগছে অনেক। বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে এই ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

ঋতু পরিবর্তনের কারণে হলেও এই জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা কিন্তু বেশ ছোঁয়াচে। তেমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। তাই ভিড় এড়িয়ে যেতে বলছেন। হাঁচি, কাশির সমস্যায় ভুগছেন, এমন কারও থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। খুব ভাল হয় যদি মাস্ক পরে বাইরে বেরোতে পারেন। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ, অন্য কোনও শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন কিংবা কেমো চলছে, এঁদের ক্ষেত্রে ভাইরাল ফিভার হলে ঝুঁকি থেকে যায়। তাই এই সময়ে সাবধানে থাকা জরুরি।

Symbolic Picture of Viral Problem

ঋতু পরিবর্তনের কারণে হলেও এই জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা কিন্তু বেশ ছোঁয়াচে। প্রতীকী ছবি।

ভাইরাল ফিভারের উপসর্গগুলি কী কী?

গাঁটে গাঁটে ব্যথা, মাথাযন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, গলাব্যথা, কাশি, শারীরিক দুর্বলতা— এগুলির মধ্যে একটি উপসর্গগুলি দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফেলে রাখলে বিপদ আপনারই।

উপসর্গ দেখা দেখা দিলে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন?

প্রচুর পরিমাণে জল খান। অন্যান্য পানীয়ও খান বেশি করে। যেমন স্যুপ, ফলের রস খেতে পারেন।

হাঁচি এবং কাশির সময়ে দু’হাত দিয়ে মুখ চেপে নিন। যাতে তা বাইরে ছড়াতে না পারে। প্রয়োজনে মাস্ক পরে থাকুন।

বাতানুকূল যন্ত্র কিংবা ফ্যান এড়িয়ে চলুন। নতুন করে ঠান্ডা না লাগে, সে দিকে নজর দিন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ফল, শাকসব্জি রোজের পাতে রাখুন। বাইরের খাবার এ সময়ে এড়িয়ে চলুন।

কী করবেন না?

নিজের সিদ্ধান্তে ভুলেও অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। শুধু অ্যান্টিবায়োটিক বলে নয়, কোনও ওষুধ চিকিৎসককে না দেখিয়ে খাবেন না।

এই সময়ে মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। কারণ এই ধরনের পানীয় আপনার অসুস্থতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই সঙ্গে শরীরও অত্যধিক আর্দ্র হয়ে যেতে পারে।

শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে ধূমপান এড়িয়ে চলুন। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

Viral fever Health

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}