Advertisement
E-Paper

এইচএমপিভির পর আতঙ্ক ‘র‌্যাবিট ফিভার’, আমেরিকায় দ্রুত ঘটছে সংক্রমণ, কী এই রোগ?

আমেরিকা জুড়ে হানা দিয়েছে ‘র‌্যাবিট ফিভার’। রোগটির নাম টুলারেমিয়া। শিশু থেকে বয়স্ক— অনেকের শরীরেই হানা দিয়েছে এই রোগ।

What is Rabbit Fever, know the symptoms and prevention tips

কী এই র‌্যাবিট ফিভার? কতটা সংক্রামক? ছবি: ফ্রিপিক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৭
Share
Save

হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ চারদিকে। চিনের পরে ভারতেও এই রোগ হানা দিয়েছে বলে খবর। এমনকি কলকাতা শহরেও এক শিশুর শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এরই মধ্যে ফের এক প্রকার ভাইরাস নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। আমেরিকা জুড়ে হানা দিয়েছে ‘র‌্যাবিট ফিভার’। রোগটির নাম টুলারেমিয়া। শিশু থেকে বয়স্ক— অনেকের শরীরেই হানা দিয়েছে এই রোগ।

কী এই র‌্যাবিট ফিভার?

র‌্যাবিট ফিভার ভাইরাস ঘটিত রোগ নয়। এর পিছনে রয়েছে এক অতি সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়া, যার নাম ফ্রান্সিসেল্লা টুলারেনসিস। আমেরিকার 'সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন' (সিডিসি)-র তথ্য অনুযায়ী, খরগোশ, ইঁদুর জাতীয় প্রাণী থেকে এই ব্যাক্টেরিয়া ছড়ায়। এই সব প্রাণীর শরীরে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। সেখান থেকে মাছি বা কোনও পতঙ্গের মাধ্যমে জীবাণু মানুষের শরীরে ঢুকতে পারে। প্রাণীর দেহাবশেষ, মলমূত্র থেকেও ব্যাক্টেরিয়া ছড়ায়। খামারে যাঁরা খরগোশ প্রতিপালন করেন, তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। পোষ্য খরগোশ থেকেও রোগ ছড়াতে পারে।

ফ্রান্সিসেল্লা টুলারেনসিস ব্যাক্টেরিয়া নোংরা ও অপরিস্রুত জল থেকেও ছড়াতে পারে। আবার বাতাসবাহিত হয়েও এই ব্যাক্টেরিয়া ছড়ায় বলে জানা গিয়েছে। বাতাসের জলকণায় ভর করে এই ব্যাক্টেরিয়া বহু দূর অবধি ছড়াতে পারে। প্রাণীদের পাশাপাশি সংক্রমণ ঘটতে পারে মানুষের শরীরেও। আক্রান্তের হাঁচি-কাশি, থুতু-লালার মাধ্যমে খুব দ্রুত এক জনের থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়াতে পারে এই রোগ।

র‌্যাবিট ফিভারের উপসর্গ ভয়ঙ্কর হতে পারে

সাধারণত জ্বর, বমি, পেটখারাপ, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ত্বকে র‌্যাশ, ফুস্কুরি বা ত্বকের সংক্রমণও দেখা দিতে পারে। টুলারেমিয়ায় আক্রান্তদের বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের উপসর্গও দেখা গিয়েছে।

সিডিসি জানিয়েছে, ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে ত্বকের আলসার হতে পারে, যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘আলসেরোগ্ল্যান্ডুলার টুলারেমিয়া।’ এতে শরীরের লসিকা গ্রন্থিগুলি ফুলে যেতে পারে।

চোখেও সংক্রমণ হতে পারে। চোখে ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে ওঠা, দৃষ্টি ক্ষীণ হতে পারে। যাকে বলা হয় ‘অকুলোগ্ল্যান্ডুলার টুলারেমিয়া।’

নিউমোনিয়ার লক্ষণও দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হতে পারে, যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হচ্ছে ‘নিউমোনিক টুলারেমিয়া’। এই রোগ হলে রোগীকে ভেন্টিলেশনেও রাখতে হতে পারে।

টুলারেমিয়া থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতায় জোর দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা জরুরি। বার বার হাত ধুতে হবে। আক্রান্তের থেকে দূরে থাকাই ভাল। উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রাস্তাঘাটে কাটা ফল, স্যালাড, ঠান্ডা পানীয়ও খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা।

Deadly Bacteria HMPV Bacteria Bacterial Disesases

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।