কাঞ্চনার নাকে রক্ত জমাট বেঁধে হয়েছিল ‘হেমাটোমা’। ছবি- সংগৃহীত
বেশ কিছু দিন আগে নাকে চোট পেয়েছিলেন অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। সেখান থেকে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। চিকিৎসকেরা জানান, কাঞ্চনার নাকে রক্ত জমাট বেঁধে ‘হেমাটোমা’ হয়েছে। সে জন্যই তড়িঘ়ড়ি অস্ত্রোপচার করতে হয়। এই সমস্যায় অনেক দিন ধরেই কষ্ট পাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। নাকে রক্ত জমাট বাঁধায় ধীরে ধীরে জটিলতাও বাড়তে থাকে। সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই অবশেষে অস্ত্রোপচার করতে হয়। কিন্তু এই হেমাটোমা যে কী, সে সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। সামান্য আঘাত লাগা থেকেও যে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে, তা জানেন না অনেকেই।
‘হেমাটোমা’ কী?
ছোটবেলায় খেলতে গিয়ে চোট বা সজোরে আঘাত লাগলে অনেক সময়েই ওই জায়গায় কালচে ছোপ পড়ে যায়। চলতি কথায় অনেকেই যাকে ‘কালশিটে’ বা রক্ত জমাট বাঁধা বলে থাকেন। আঘাত লেগে শরীরের যে কোনও অংশেই কিন্তু রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। তবে তাকে ‘কালশিটে’ বলা যায় না। চিকিৎসা পরিভাষায় এর নাম ‘হেমাটোমা’।
হেমাটোমা আর রক্ত জমাট বাঁধা কি এক?
মস্তিষ্কে বা দেহের অন্য কোথাও চোট বা আঘাতের কারণে রক্তনালি থেকে রক্তপাত হতে শুরু করে। সেই রক্ত জমে সৃষ্টি হয় ‘হেমাটোমা’। যার ফলে আঘাত লাগা জায়গায় প্রায়শই ব্যথা হয়। অনেক সময়ে আঘাতের উপর একটি বেগনি রঙের স্তরও দেখা যায়। শরীরে ছোট একটি অংশ জুড়ে হওয়া হেমাটোমা সাধারণত খুব বড় কোনও সমস্যা তৈরি করে না। কিন্তু এই একই জিনিস যদি মস্তিষ্কে হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। খালি চোখে দেখে যা ধরতে পারাও কঠিন হয়ে যায়। ‘এমআরআই’ বা সিটি স্ক্যান ছাড়া এই হেমাটোমা-র নাগাল পাওয়া মুশকিল।
পাশাপাশি, আঘাত লেগে শরীরে প্লেটলেটগুলি একত্রিত হলে রক্ত জমাট বাঁধে। অ্যান্টিফসফোলিপিড সিন্ড্রোম এবং আর্টেরিওস্ক্লেরোসিসের মতো অবস্থার কারণে কিন্তু রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। আঘাত লেগে অস্বাভাবিক ভাবে রক্ত জমাট বাঁধলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy